আওয়ার ইসলাম: হাটহাজারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র মুন্না পাহাড়ে নিজের হাতে লাগানো গাছ দেখতে যাচ্ছিলেন। সে পাহাড় ঘেঁষেই বয়ে চলেছে ঝর্ণা।
মুন্না যখন পাহাড়ের দিকে হাঁটছিলেন, তখন পা পিছলে ঝর্ণার খাদে পড়ে যায় সে। স্রোতে তলিয়ে যাওয়া মুন্নাকে কিছু সময় পর লাশ হিসেবে উদ্ধার করে স্বজনদের বুঝিয়ে দেয় ডুবুরির দল।
আজ (সোমবার) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা অনুষদের পাশের ঝর্ণায় তলিয়ে মারা যান সাইফুল ইসলাম মুন্না। পরে দুপুর ১টার দিকে হাটহাজারী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
হাটহাজারীর ফতেপুর এলাকার আলম ফকির বাড়ির সন্তান মুন্না হাটহাজারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র মুন্না। একইসাথে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘ঝর্ণার পাশের স্থানীয় লোকজন পাহাড়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ ও গাছ রোপন করে। সোমবার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে নিজের লাগানো গাছ দেখতে পাহাড়ে গেলে পা পিছলে হঠাৎ তিনি ঝর্ণার খাদে পড়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধারে ডুবরী দল আসে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে চবির ঝর্ণায় তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়। এতে পড়ে যাওয়া ব্যক্তি সাঁতরে উঠতে পারেনি। আমরা শোনা সাথে সাথেই হাটহাজারী ফায়ার স্টেশনে খবর দিই।
দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।’ এদিকে, মুন্নার মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
-এটি