শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরাম এর সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম  ‘সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন’ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসানের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোকপ্রকাশ কাল ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় রোজায় বাজার সহনশীল রাখার চেষ্টা করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে বিএনপি মহাসচিবের শোক

বৃষ্টি দিনে রাসুল সা. যে আমল করতেন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বৃষ্টি আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত। মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি খুশি হলেই বৃষ্টি দিয়ে থাকেন।

বৃষ্টি যেন মানুষের জন্য কল্যাণকর হয় এ জন্যও বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। বৃষ্টির জন্য কুরআনুল কারিমে ইসতেগফারের আমল করতেও বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘অতপর বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।

তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দেবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি বাড়িয়ে দেবেন। তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২)

এ আয়াতে কারিমায় মানুষের ইসতেগফারের ফলে মহান আল্লাহ বান্দার জন্য বৃষ্টি দান করেন। আর বৃষ্টির মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেন।

বৃষ্টি যেন মানুষের জন্য কল্যাণকর হয়, সে জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কল্যাণের দোয়া করতেন। এ দোয়া থেকেও তা প্রামাণিত। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃষ্টির ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে এ দোয়া পড়তেন- اَللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَ لَا عَلَيْنَا- اَللَّهُمَّ عَلَي الْأَكَامِ وَ الْجِبَالِ والْاُجَامِ وَالظِّرَابِ وَالْأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়া লা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল ঝিবালি ওয়াল উঝামি ওয়াজ জিরাবি ওয়াল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাজারি।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের আশে-পাশে বৃষ্টি বর্ষণ কর। আমাদের ওপরে করিও না। হে আল্লাহ! টিলা, পাহাড়, উচ্চভূমি, মালভূমি, উপত্যকা এবং বনাঞ্চলে বৃষ্টি বর্ষণ কর।’ (বুখারি)

পাশাপাশি বৃষ্টি যেন মানুষের ক্ষতির কারণ না হয় সেজন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করেছেন। হাদিসে এসেছে-

বৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে বাঁচতে- اَللَّهُمَّ اِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَافِيْهِ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন সাররি মা ফিহি।’ (বুখারি) অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ মেঘের যত অনিষ্টতা আছে তা থেকে আশ্রয় চাই।’

মেঘের গর্জনে পড়ার দোয়া। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে, ‘মেঘের গর্জন শুনলে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন মাজিদের একটি আয়াত পড়তেন।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং কুর`আন মাজীদের এই আয়াত তিলাওয়াত করতেন- سُبْحَانَ الَّذِىْ يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ
উচ্চারণ: ‘সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রাদু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি।’ (মুয়াত্তা)

অর্থ: ‘পবিত্র সেই মহান সত্তা প্রশংসা যিনি পানিভরা মেঘ উঠান। মেঘের গর্জন তার প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং তার ফেরেশতারাও তাঁর ভয়ে কম্পিত হয়ে তাঁর তাসবিহ পাঠ করে।’

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, বৃষ্টি শুরু হলে কল্যাণের জন্য দোয়া করা। আবার বৃষ্টির অনিষ্টতা ও ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ