অনুবাদ: শাফনুন কবীর>
আধ্যাত্মিক গুনাহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি হলো স্বার্থপরতার গুনাহ: শুধু নিজের প্রয়োজনের/চাহিদার ব্যাপারে ভাবা নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া এবং কখনোই অন্যদের প্রয়োজনের প্রতি যত্নবান না হওয়া বা গুরুত্ব না দেয়া।
আল-কুরআনে বলা হয়েছে, এবং মানুষের মধ্যে কৃপণতা বিদ্যমান রয়েছে। (সূরা আন-নিসা, ১২৮ নং আয়াত; ৪:১২৮) অর্থাৎ মানুষ হিসেবে আমাদের প্রকৃতিগত স্বভাব এটাই যে আমরা স্বার্থপর এবং আমাদের এই স্বভাবের বিরোধিতা করতে হবে ও সহানুভূতিশীল হতে হবে।
এটা খুবই কৌতূহলের একটি বিষয় যে এই উপরক্ত আয়াতের অংশবিশেষ আসলে বৈবাহিক কোলাহল সংক্রান্ত কিছু আয়াতের মধ্যে এসেছে অর্থাৎ বিশেষ করে, স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের প্রয়োজনের প্রতি অসহনুভূতিশীল ও স্বার্থপর হওয়া অনুচিত। বাস্তবিকপক্ষে, নিজের স্বার্থপরতার উপরে জয়লাভ করা ধার্মিকতার ও বদান্যতার অংশ। যেটার ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম। (সুরাতুল হাশর, আয়াত ৯; ৫৯:৯)
আমাদের রাসুল সা. বলেছেন, তোমরা কৃপণতাকে ভয় কর। কেননা কৃপণতার কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা ধ্বংস হয়েছে। (সুনান আবু দাউদ, কিতাব আল-যাকাত, হাদিস ১৪৩)
অবশ্যই, কোন একটি পর্যায়ে আমাদের নফস ঠিকই আমাদের বলে নিজস্ব প্রয়োজন ও চাওয়াগুলোকে অন্যদের উপরে গুরুত্ব দিতে। ঠিক এখানেই ভালোবাসা টেনে আনার খুবই প্রয়োজন যখন আপনি সত্যিই অন্য কাওকে ভালোবাসবেন, সেই মানুষের চাওয়া ও প্রয়োজন আপনার নিজেরগুলোর আগে প্রাধান্য দিবেন। আর যখন আপনি আল্লাহ-কে ভালোবাসবেন, তখন আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বিসর্জন দিয়ে কাজ করবেন আল্লাহর জন্যে।
একজন স্বার্থপর মানুষ অন্যদের দ্বারা ঘৃণিত যদিও বা সে মনে করে যে সে নিজেকে সবচেয়ে ভালোবাসে; আর যে মানুষ উদার ও সহানুভূতিশীল সে অন্যদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় যদিও বা সে মনে করে যে সে অন্যদের বেশী ভালোবাসে।
-এটি