মূল: ডক্টর ইয়াসির কাদরি
অনুবাদে: মুহাম্মদ ইশরাক>
পবিত্র কুরআনে প্রায় ত্রিশ স্থানে 'জাকাত' শব্দ উল্লেখ আছে। এই ত্রিশের প্রতিবারই জাকাত আদায়ের জন্য উৎসাহ দেয়া হয়েছে। এর মধ্য ২৮ বার জাকাত আদায়ের আদেশের সাথে নামাজ আদায়ের আদেশও দেয়া হয়েছে। বাকী ২ স্থানে জাকাত আদায়ের বিধিসম্মত খাত উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে অনুপ্রেরণা দেয়া হয়নি।
কুরআনে বর্ণিত অন্যান্য আয়াতগুলো যদি আমরা ভালোভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হই তাহলে এ কথা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে জাকাতের অকপটে দান-খয়রাতের অনুপ্রেরণাদায়ক অনেক আয়াত রয়েছে। পুরো কুরআনে এর সংখ্যা প্রায় সত্তরের কাছাকাছি।
অতএব সামগ্রিক বিবেচনায় কুরআনের আয়াতসমূহের ক্ষেত্রে এ কথা প্রতীয়মান যে নামাজের সাথে জাকাত ওতপ্রতভাবে জড়িত। তাই তো মহান আল্লাহর ব্যাপারে একত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়ার পর পরবর্তী ধাপগুলো যথাক্রমে সালাত ও জাকাত।
কেন এমন পরম্পরতা?
কারণ,নামাজের মর্মবাণী হলো আল্লাহ ও বান্দার মধ্য একটি বন্ধন তৈরী করা এবং স্রষ্টা ও সৃষ্টের মাঝে একটি সম্পর্ক সৃষ্টি করা।
আর জাকাতের মর্মবাণী হলো আশপাশের লোকজনের সাথে সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা গড়ে তোলা। কারণ যে অন্যকে নিজের পকেট থেকে কিছু দিতে পারে। সে অবশ্যই অন্যকে হৃদয় থেকে ভালবাসতে পারে। নিজের সকল বিষয়ে প্রীতি ও সম্প্রীতি প্রদর্শন করতে পারে। পকেট-প্রীতির চেয়ে প্রয়োজনে অন্যের পাশে দাঁড়ানো যার কাছে বেশি প্রীতিকর সে-ই প্রকৃত মানবতার ফেরিওয়ালা। সমবেদনা ও সহানুভূতিতেও সে অনন্য।
সুতরাং ইসলামের মহান দুই রুকন সালাত ও জাকাত স্বরণে রাখুন। আর নিজেকে শামিল করুন সেই জামাতে যারা প্রতিদিন সালাত আদায় করেন এবং প্রতিনিয়ত দান-খয়রাত করেন।
-এটি