আওয়ার ইসলাম: খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সম্পূর্ণভাবে একটি অবাস্তব বাজেট। এ বাজেটের দ্বারা সাধারণ জনগণের কোন কল্যাণ হবে না। এ বাজেটের দ্বারা মুিেষ্টমেয় কিছু লোকের আখের গোছানের সুযোগ হতে পারে। এ রকম বিশ্রার ঘাটতি বাজেট দেশবাসী পূর্বে কখনো দেখে নাই।
আজ শনিবার বিকাল ৩ টায় খেলাফত মজলিস আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত বাজেট-২০২০-২১’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সরাসরি সম্প্রচারিত এ ভার্চুয়াল সভায় সংযুক্ত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের দ্বার নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের কাছে , বর্তমান সরকার কোন দায়বদ্ধতা নেই। এ জন্য একটি গণবিরোধী বাজেট দিয়েছে। আমরা জনগণের স্বার্থে বাজেট নিয়ে অনেক পরামর্শ দিয়েছিলাম কিন্তু সরকার তা গ্রহন করেনি। আজকে করোনার কারণে কয়েক কোটি লোক হঠাৎ উপার্যনহীন হয়ে পরেছে। এখান থেকে মাত্র ৫০ হাজার লোককে আড়াই হাজার টাকা করে দিলে মানুষ ঘরে থাকবে কি করে? যারা দিন আনে দিন খায় তারা পরিবার পরিজনের ভরণপোষণের জন্য বাইরে বের হতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে কোভিড-১৯ রোগের ক্রমশ ছড়িয়ে পরছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখা হু হু করে বাড়ছে।
নজরুল ইসলাম খান শ্রমজীবি মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা এবং শ্রমিক ছাটাই বন্ধে প্রয়োজনে আইন প্রনয়নের দাবী জানান।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট একটি গতানুগতিক বাজেট। চলমান দুর্যোগ মোকাবেলার কোন আয়োজন নেই এ বাজেটে। তা ছাড়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম (বীর প্রতীক) বলেন, করোনা ভাইরাস আসার কারণে স্বাস্থ্যবিভাগের যে দুর্বলতা ধরা পরেছে সেই মৃতপ্রায় চিকিৎসা বিভাগকে টেনে তোলার কোন ব্যবস্থা নেই বাজেটে। সরকার ব্যাংক থেকে মোটা অংকের ঋণ নেয়ায় আগামী বছরও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ব্যবসাবাণিজ্যের জন্য কোন ঋণ পাবে না। মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর ২৫ ভাগ ট্যাক্স বসিয়ে সরকার সর্বসাধারণের উপর চড়াও হয়েছে। তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর প্রস্তাবিত করের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, বীর প্রতীক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব যুগ্মমহাসচিব- মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবদুস সামাদ সরকার।
খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অর্থনীতি গবেষক নেদারল্যান্ড প্রবাসী প্রকৌশলী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনসুরুল আলম মনসুর। শুরুতে কি-নোট উপস্থাপনা করেন খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল।
-এএ