সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

আম্ফানে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে তাণ্ডবে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের প্রায় এক কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। এতে বনায়ন করা গাছপালা উপড়ে যাওয়া, বন বিভাগের কয়েকটি অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি এবং সুন্দরবনের মধ্যে খনন করা মিঠা পানির ১৭টি পুকুরে লবণ পানি প্রবেশ করে মিঠা পানির উৎস নষ্ট হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক বনজসম্পদ এবং বন্যপ্রাণির কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার আম্ফানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করার জন্য গঠিত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডিএফও মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বন বিভাগের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আওতাধীন এলাকায় ১০টি রেন্টি গাছ, দুটি তাল গাছ, পাঁচটি নারিকেল গাছ, সাতটি ঝাউগাছ, একটি বটগাছ ও একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া বনের মধ্যে ১৮টি জেটি, ২৪টি অফিস ও স্টাফ ব্যারাক, ২১টি সোলার, একহাজার ২৫৫ মিটার রাস্তা, গ্যাংওয়ে পল্টুন ৮টি, ওয়াচ টাওয়ার একটি, ফুট ট্রেইল দুটি, পানির ট্যাংক ১৬টি, হরিণ রাখার খাচার সেট একটি, ডলফিন প্যাবিলনের ফাইবার একটি, পাবলিক টয়লেট একটি, আরসিসি বেঞ্চ ট্রান্সফার একটি এবং দু’টি গোলঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা এক হাজার ১২৪ ঘনফুট সুন্দরীগাছ।

বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরুপনের গঠিত কমিটির সদস্যরা সুন্দরবন পূর্ব এবং পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে, শুধুমাত্র সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আওতাধীন এলাকায় এক কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বনাঞ্চলের ক্ষতি ৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা এবং অবকাঠামোগত ক্ষতি এক কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা। তবে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক বনসম্পদ এবং বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষতি হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির এ প্রতিবেদন ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সূত্র : ইউএনবি

-এএ


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ