সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

ইসলাম ও সংস্কৃতি ভাবনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতী নাজমুল হুদা নুমানী।।

ইসলাম ধর্মের নিজস্ব সংস্কৃতি তথা জীবনাচার আছে, কিন্তু নির্দিষ্ট সংস্কৃতি তথা জীবনাচার নেই, ইসলামী সংস্কৃতি-জীবনাচার ঈমানী আদর্শভিত্তিক বহুমাত্রিক বিশ্ব সভ্যতার নাম।

শিরক - নাস্তিকতা এবং হারামের উপাদানমুক্ত তাওহিদ- রিসালাত- আখেরাত-হালালের উপাদানযুক্ত হয়ে রুপ- প্রকৃতি- ধরনে যতই ভিন্ন হোক, এমন সকল সংস্কৃতি- সভ্যতাই ইসলামী সংস্কৃতি - সভ্যতা হিসেবে গণ্য৷

এ ভিত্তিতেই আরব- ইরান- ভারত- আফ্রিকা-ইউরোপ-অষ্ট্রেলিয়া-এন্টার্কটিকার জীবনাচার কোন কালে এক ছিলনা,আজও নেই, ভবিষেৎও হবেনা।

কারন ইসলাম তার সভ্যতা-সংস্কৃতির মুলনীতি দিয়েছে কিন্তু সুনির্দিষ্ট রুপ দেয়নি৷বরং রুপ- প্রকৃতি- ধরন এই শাখা গুলোকে সে স্হান-কাল-পাত্রভেদে ভিন্ন হবে বিধায় মুলনীতি নির্ধারণ করে রুপ- ধরনকে জনগণের হাতে ছেড়েদিয়েছে।

এটাই ইসলামের প্রশস্হতা এবং উদারতা,যার কারণে ইসলাম কখনোই উক্তমুলনীতি মেনে গড়ে ওঠা আরব সভ্যতাকে বিশ্ব মুসলিমের উপর চাপিয়ে দেয়নি।

বরং ইসলাম পৃথিবীর যেখানে গিয়েছে সেখানকার সভ্যতা- সংস্কতিকে উক্তমুলনীতির আওতায় এনে আপন করে নিয়েছে৷যার কারণে একমাত্র ইসলামই বিশ্বকে উপহার দিতে পেরেছে এক ঈমানী আদর্শভিত্তিক বহুমাত্রিক বিশ্বসভ্যতা।

সাহাবাদের দ্বারা গড়ে ওঠা আরব সংস্কৃতি-সভ্যতাই একক ইসলামী সংস্কৃতি -সভ্যতা নয়,বরং তা ইসলামী সংস্কৃতি- সভ্যতার একটি সর্বশ্রেষ্ঠ অংশ,ইসলামী সংস্কৃতি ব্যাপক- বিস্তৃত- বিশাল পরিধির এক ঈমানী আদর্শভিত্তিক বহুমাত্রিক বিশ্ব সভ্যতার নাম৷

যেমনিভাবে ইসলামী লেবাস বলতে নির্দিষ্ট কোন লেবাস নেই ,বরং কাপড় পাতলা না হওয়া, টাইটফিট না হওয়া,বিধর্মীর পোষাকের সাদৃশ্য না হওয়া,এই তিন মুলনীতি মেনে রুপ-প্রকৃতি- ধরনে যতই ভিন্নতা হোকনা কেন,তার সবই ইসলামী পোষাক৷

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও প্রধান মুফতী মারকাযুল ফিকহ আল-ইসলামী বাংলাদেশ,ঢাকা

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ