মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানী।।
মুহতামিম: বড় কাটারা মাদরাসা ঢাকা।
খতিব: উর্দ্দু রোডস্থ মির্জ্জা মান্না দেউরী জামে মসজিদ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রোজাকে অনর্থক কথা ও অশালীন কথা হতে পবিত্র করার জন্য এবং নিঃস্বদের মুখে খাদ্য দেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদকায়ে ফিতর নির্ধারণ করেছেন। (আবু দাউদ, মিশকাত)
‘ফিতরা’ হলো রোজাদারের দ্বারা ঘটে যাওয়া সব অবাঞ্ছনীয় কাজ, যৌনাচার তথা ফাহেশা কাজ থেকে পবিত্র করার অন্যতম মাধ্যম। রোজা পালনরত অবস্থায় রোজাদার অনিচ্ছাকৃত যেসব ভুল করে থাকে, তার ক্ষতিপূরণ স্বরূপ। কেননা মহান আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই ভালো কাজ পাপকে ধ্বংস করে দেয়।’ (সূরা হুদ : আয়াত ১১৪)
ঈদের দিন গরিব ও মিসকিনদের আনন্দ-বিনোদন, উত্তম খাবারের আয়োজনের সহজ ব্যবস্থাপনায় ফিতরা সহায়ক হয়ে থাকে। ফিতরা থেকে প্রাপ্ত অর্থে তারাও ধনীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার নিকট অনুতপ্ত হৃদয়ে গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের বহিঃপ্রকাশ হলো এই ফিতরা আদায়। কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার তাওফিক দান করেছেন। রোজা পালন কালে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ছোট ছোট ত্রুটি হয়ে গেছে। যা থেকে ক্ষমা লাভ করে রোজার পরিপূর্ণ ফায়েদা ফিতরার মাধ্যমে অর্জিত হয়।
এ ফিতরা আদায়ের মাধ্যমে রমজান মাসে রোজা পালন শেষে যাতে আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়া পরিপূর্ণ হয়। সে লক্ষ্যে আল্লাহর পথে মাল (অর্থ) খরচের মাধ্যমে নিজেদেরকে পবিত্র করার জন্যই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গরিব দুঃখীর জন্য ফিতরার ব্যবস্থা করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে ফিতরা আদায় করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
ওআই/আবদুল্লাহ তামিম