ইসমাঈল হাবীব ।।
আজকের রকমারি ইফতারের বর্ণিল আয়োজন দেখে আমরা হয়তো ভুলে গেছি, আমাদের ঐতিহাসিক চেতনার কথা।যখন ঈমানি স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠেছিলো নিপীড়িত মুসলমানদের হৃদয়ে হৃদয়ে।
বাতিলের সামনে অমিত সাহসে বুক বেঁধে দাঁড়িয়ে ছিলো মহাসত্যের সৈনিকেরা। সময়টা ছিলো ১৭ই রমজান।
প্রবল ঈমানি শক্তিবলে বলীয়ন হয়ে আল্লাহ তাআলার সীমাহীন সাহায্যে মক্কার দুষ্ট - কাফেরদের বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছিলো।ওদের আত্মদম্ভের রক্তময় বিনাশ হয়েছিলো সেদিন।ভীষণভাবে পরাভূত করেছিলো বদরের প্রান্তরে।কুরআন সে কথাই বলেছে।
শুনন, কুরআনের ভাষায় ولقد نصركم الله ببدر وانتم ازلة فتقوا الله لعلكم تشكرون বদরের যুদ্ধে তোমরা যখন হীনবল ছিলে আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।
মুসলিম উম্মাহর তরে বদরযুদ্ধ যুগে যুগে চেতনা যুগিয়েছে।হিরন্মময় বিশ্বাসকে শাণিত করেছে বারবার।নেতিয়েপড়া মুসলিমদের প্রেরণা দিয়েছে।
রমযান মাসে ইসলামের আরেকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো।সেটি ছিলো মক্কাবিজয়।ইসলাম ফিরে এসেছিলো স্বগৌরবে- সমহিমায়।
কুফুরের মাটিতে মহাসত্যের বিজয় ঘোষিত হয়েছিলো আকাশে বাতাসে।আল্লাহ তাআলা স্বয়ং বিজয় ঘোষণা করেছেন।
কুরআনের ভাষায়- انا فتحنا لك فتحا مبينا আমি আপনাকে দান করলাম সুস্পষ্ট বিজয়।
ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এই রমজানই মুসলিম উম্মাহের জন্য প্রাপ্তি এনে দিয়েছিলো।আমরা এই রমজানকে কেন্দ্র করে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অনেক পুরস্কার পেয়েছি।
আসুন, মাহে রমজানে মুষ্টিবদ্ধ হয়ে শপথ গ্রহণ করি।আমাদের চেতনাকে শানিত করি।আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখে কুফুরি মতবাদের বিরুদ্ধে উজ্জীবিত হই।এই হোক আমাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
-এটি