সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

মাহে রমজানের ফজিলত ও মাহাত্ম্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তারেক জামিল ।।

রামাজান রহমত,বরকত ও মাগফিরাতের মাস,এই মাস জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস,আল্লাহ তায়ালা এই মাসে নিজের রহমত কে প্রশস্ত করে দেন এবং ক্ষমার হাত সম্প্রসারিত করে দেন।

রাসূল (সাঃ)এই রমজান মাসেই সর্বপ্রথম ওহীপ্রাপ্ত হন-যেমন আল্লাহ কোরআনে বলেছেন রমাজান হল সেই মাস,যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন,যা মানুষের জন্য হিদায়াত ও সুপথের সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী এবং তা ন্যায় ও অন্যায় এর মাঝে পার্থক্যকারী,কাজেই তোমাদের মাঝে যে এ মাস প্রত্যক্ষ করে সে যেন এ মাসে রোজা রাখে (সূরা বাক্বারা,আয়াত নং ১৮৫)।

মাহে রমাজানে রোজাকে ফর‍য করে আল্লাহ বলেছেন হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোযাকে ফর‍য করা হয়েছে যেরকম তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল (সূরা বাক্বারা আয়াত নং ১৮৩)।

মাহে রামাজানের ফজীলত সম্পর্কে প্রিয় নবীজি (সাঃ) হাদীসে বলেছেন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত,রাসূল(সাঃ) বলেছেন,যে লোক রমজান মাসের রোজা রাখবে ঈমান ও চেতনা সহকারে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে
(সহীহ বুখারী)

প্রিয় নবীজি (সাঃ) আরও বলেন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত,যখন রামাজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়,দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শিকলাবদ্ব করা হয় (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)।

এই মাসের কোন ইবাদতের ফযীলত অন্য যে কোন মাসের চেয়ে অনেক বেশী এ সম্পর্কে হাদীসে নবীজী(সাঃ) বলেছেন
এই মাসে যে ব্যাক্তি নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবে,সে ঐ ব্যাক্তির ন্যায় হবে যে রামাজান ব্যাতিত অন্য একটি ফর‍য আদায় করল, আর যে ব্যাক্তি এই মাসে একটি ফরজ আদায় করবে সে যেন অন্য মাসের সত্তুরটি ফরজ আদায় করল। (মিশকাতুল মাসাবীহ)।

সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এই মাসে যথাযথভাবে রোজা আদায় করা,কোরআন তিলাওয়াত করা,বেশী বেশী নফল নামাজ পড়া,ইস্তেগফার পড়া ও দান-সদকা করা উচিৎ

লেখক-শিক্ষার্থী,জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ