ফরহাদ খান নাঈম।।
মিসরের সাদ মুহাম্মদ নিজ হাতেই তৈরি করে ফেললেন ৭০০ মিটার লম্বা কুরআন। ছেলেবেলায় বিশেষ কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। তবে তখন থেকেই বিশ্ব রেকর্ড গড়বার অদম্য ইচ্ছা সর্বদাই তাকে তাড়া করে ফিরেছে। আর তাইতো তিন বছর নিরলস পরিশ্রম করে নিজ হাতেই তৈরি করে ফেললেন বিশ্বের দীর্ঘতম কুরআনের কপি।
অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সজ্জিত হস্তলিখিত এই কুরআনের স্ক্রলটি ৭০০ মিটার অর্থাৎ ২,২৯৬ ফিট লম্বা। এর মানে হলো এটিকে মেলে ধরলে দৈর্ঘ্যে ৩৮১ মিটার উঁচু রাষ্ট্রীয় রাজপ্রাসাদের প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতা ধারণ করে। এবং এই দীর্ঘ স্ক্রলটির দূরত্ব সমপরিমাণ হেঁটে যেতে হলে প্রায় পাঁচ মিনিট লেগে যাবে।
সাদ মুহাম্মদ মনে করেন, দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ হস্তলিখিত কুরআনের কপি যা সহজেই গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিতে পারবে। তবে ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নেওয়ার এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে তার কিছু অর্থনৈতিক সাহায্যের প্রয়োজন আছে বলে তিনি জানান। এই মর্মে রয়টার্স টিভিকে তিনি বলেন, কুরআনের কপিটি ৭০০ মিটার দীর্ঘ; আর তাই এতে বিপুল পরিমাণ কাগজের দরকার হয়েছে।
উল্লেখ্য, হস্তলিখিত সর্ববৃহৎ কুরআনের কপি তৈরির আরেকজন প্রতিযোগি ২০১২ সালে আফগানিস্তানে আত্মপ্রকাশ করেন। তার তৈরি করা কপিটি ছিলো দৈর্ঘ্যে ২.২ মিটার আর প্রস্থে ১.৫৫ মিটার। অত্যন্ত সুন্দরভাবে লিখিত এই কপিটিতে পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিলো ২১৮ টি। আর পুরো কপিটির মলাট ছিলো ছাগলের চামড়ার তৈরি যা বানাতে প্রয়োজন হয়েছিলো ২১ টি ছাগলের চামড়া। ৫০০ কেজি ওজনের এই কুরআনের কপিটি তৈরিতে সময় লেগেছিলো প্রায় পাঁচ বছর; কিন্তু এখনো এটি অফিসিয়ালি গিনেজ বুক অব রেকর্ডে জায়গা করে নিতে পারেনি।
সাদ মুহাম্মদ কর্তৃক তৈরি করা ৭০০ মিটার দীর্ঘ এই কুরআনের কপিটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কুরআনের কপি হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিতে পারে, এ আশাই করে তার দেশে।
ইসলাম হ্যাশট্যাগ থেকে ফরহাদ খান নাঈমের অনুবাদ।
-এটি