হুসাইন মাহমুদ।।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার দয়াপুর গ্রামে ঐতিহ্যের সাথে চমৎকার আধুনিকতার সমন্বয়ে দাঁড়িয়ে আছে দয়াপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। ১৯৯৩ এর পরে এলাকাতেই আধুনিক শহরের অবয়বে গড়ে উঠেছে এ মসজিদটি।
পদুয়ার বাজার বিশ্ব রোড থেকে চিটাগাং রোডের দিকে প্রায় তিন কিলো দূরে অবস্থিত দয়াপুর নামক গ্রামটি।
মুরুব্বিদের থেকে জানা যায় প্রায় দেড়শ/দু’শ বছর পূর্বে দয়াপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ইয়াকুব আলি নামের এক ব্যাক্তি এ স্থানে মাটির একটি মসজিদ নির্মাণ করেন আর এভাবেই দীর্ঘদিন নামাজ আদায় করেন গ্রাম বাসি।
পরবর্তিতে- স্বাধিনতার পূর্বে দ্বিতীয় সংস্করণ এবং নতুন কাঠামোয় নির্মাণ করার উদ্যোগ নেন পুরান ঢাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহি বড় কাটারা মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস মাওলানা শাহ্ সেকান্দর আলী রহ.। তিনি এ গ্রামের দক্ষিণ বাড়ির কৃতি সন্তান।
তৃতীয় সংস্করণ। বিশিষ্ট আলেমে এমদাদুল উলুম দয়াপুর মাদরাসার সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, মাওলানা সালেম আহমদ ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তৃতীয় সংস্কারণ করার মনস্থ করেন ১৯৯৩।
‘দু'তলা’ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ‘দশ’তলা বিশিষ্ট দৃষ্টি নন্দন সুউচ্চ মিনার, আজ অব্দি সেই রূপেই দাঁড়িয়ে আছে দয়াপুর গ্রামে। আজ বাংলাদেশের অনন্য এক স্থাপত্য নিদর্শন। সেখানে একসঙ্গে ‘এক হাজার’ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন৷
মসজিদটির পশ্চিমে কবরাস্থান তারপর পুকুর। উত্তরে বিস্তৃত বিশাল মাঠ। আর এই মাঠেই প্রতি বছর বয়ান করতে আসেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ। মসজিদের পশ্চিম-উত্তরে কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্যবাহি দয়াপুর এমদাদুল উলূম মাদরাসা স্থাপিত ১৯২৯ ইংরেজি।
-এটি