আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর যাত্রবাড়ীর মাতুয়াইলে অবস্থিত নূরুল কোরআন মাদরাসায় কওমি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করা তালিবুল ইলমদের জন্য আরবি ও ইংরেজি ভাষার এক বছরের বিশেষ জামাত ( التخصص في اللغة العربية و الانجليزية) চালু করেছে।
অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্বাবধায়নে পরিচালতি এ সেশনে ইতোমধ্যেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আসন সংখ্যা ৩০। আসন্ন শাওয়াল মাস থেকে ক্লাস শুরু হয়ে চলবে আগামী রমজান পর্যন্ত। ভর্তির শেষ তারিখ ১০ শাওয়াল। চলতি হিজরী সনের ১২ শাওয়াল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস শুরু হবে। ভর্তির জন্য যোগাযোগ-০১৯১২০৮৪৬৪৮।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকল তালিবুল ইলমকে আরবি ও ব্রিটিশ ইংলিশে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা, ইংরেজি কথপোকথনে ফ্লুয়েন্সি তৈরি করে দেয়া, নির্ভুল আরবি ইবারাত ও ইংরেজি সেন্টেন্স পড়তে শেখানো এই ক্লাসের প্রধান লক্ষ্য।
এছাড়াও আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি ব্যপক অনুশীলনের মাধ্যমে উভয় ভাষায় কথা বলতে, কথা বুঝতে ও যে কোনো বিষয়ে লেখালেখি করতে সক্ষম করে তোলা হবে। আরবি সাহিত্যের বাছাইকৃত বিভিন্ন কিতাব ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় সহযোগী বিভিন্ন গ্রন্থ পড়িয়ে সকল তালিবুল ইলমদেরকে অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন করে তোলা হবে।
এই জামাতের মাধ্যমে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যকরণগত জটিলতা হ্রাস করে সহজতম বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা, আরবি ও ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বিশুদ্ধ বাংলা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হবে।সকল তালিবুল ইলমকে আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তাদের ইলমী, দা’ওয়াতী ও দীনি খিদমাতের বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
তাছাড়া তালিবুল ইলমদের সময়,অর্থ ও পরিশ্রমকে আমানত মনে করে সেগুলোর হেফাজত ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ইলম শিক্ষার পাশাপাশি তালিবুল ইলমদের আমল,আখলাক ও রুহানিয়্যাতের বিষয়ে বিশেষ তদারকি করা, সর্বপরি তালিবুল ইলমদের পড়াশোনা, ইবাদাত ও থাকা-খাওয়ার জন্য মনোরম পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হবে।
[caption id="" align="aligncenter" width="602"] মাদরাসার একটি কক্ষ[/caption]
বিশেষ এই জামাতটি সম্পর্কে মাদরাসার পরিচালক মুফতি যুবায়ের হাসান আওয়ার ইসলামকে বলেন, “কওমি মাদরাসার যে সকল ফারেগীন ছাত্র সুদীর্ঘ অধ্যয়ন ও বিস্তৃত ইলম অর্জন সত্ত্বেও আরবি দূর্বলতার কারণে অস্বস্তি ও হীনমন্যতার স্বীকার তাদের জন্য আমাদের এই ক্লাসটি উপকারী সাব্যস্ত হবে।”
তিনি বলেন, “এছাড়াও বিশদ ইলম থাকা সত্ত্বেও ইংরেজি না জানার কারণে আন্তর্জাতিক পরিসরে যারা দীনি খিদমাত আঞ্জাম দিতে পারছে না, তাদের কথা বিবেচনা করেই মূলত এই জামাত খোলা হয়েছে। আশা করি এই জামাতে অধ্যয়ন করে তালিবুল ইলমরা তাদের কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক সময়ই দেখা যায় আমরা দ্বীনি মাদরাসার তালিবুল ইলমরা ফারেগ হয়ে ইংরেজি ভাষা শিখার জন্য বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি, আমরা ভুক্তভোগীরা সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছি।
তাছাড়াও মাদরাসা ছাত্রদের বুনিয়াদি মারহালাটা দূর্বল থেকে যাওয়ায় তালিবুল ইলমরা এই সমস্ত কোচিং সেন্টারগুলো থেকে খুব একটা উপকৃত হতে পারে না। এ সমস্ত সমস্যা বিবেচনা করে দীর্ঘ মেয়াদি খেদমতের লক্ষ্যে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা তালিবুল ইলমদেরকে দেয়ার চেষ্টা করবো এবং এতে করে তারা উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।”
আরএম/