মাহমুদুল হাসান
বিশেষ প্রতিনিধি
ছাত্রকে বেত্রাঘাতের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের নিকলী থানাধীন রোদার পুড্ডায় অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসার একজন নূরানী শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদ।
জানা যায়, গত ১৯ মার্চ উক্ত মাদরাসার ওই শিক্ষক নুরানী বিভাগের ছাত্র যুবাইদ আহমেদকে (৮) বেত্রাঘাত করে। ফলে ছেলেটির গায়ে আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়।
এদিকে ঐদিন বিকেলে মাদরাসা বন্ধ হলে আঘাতপ্রাপ্ত ছাত্র বাড়িতে যায়। পরিবারের স্বজনরা তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে। অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আঘাতের স্থানের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
এরপর মাদরাসা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের জন্ম নেয়। নুরানি বিভাগের ওই শিক্ষককে বরখাস্ত ও বিচারের দাবি ওঠে। বিষয়টি সম্পর্কে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির অবগত হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করে।
মাদরাসার মুহতামিম আব্দুল মুক্তাদির আওয়ার ইসলামকে জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আগে আসেনি, ছেলেটি আমাদেরকে আগে কিছুই জানায়নি। আমরা মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত রাখতে প্রায়ই উস্তাদেরকে নিয়ে বৈঠক করে থাকি। ছাত্রদেরকে আদর সোহাগ দিয়ে পড়ানোর ব্যাপারে শিক্ষকদেরকে উৎসাহ প্রাদান করে থাকি।
তিনি বলেন, ছেলেটিকে আঘাত করার দুদিন আগেও আমরা ছাত্রদেরকে কোন প্রকার আঘাত না করতে জোরালোভাবে নির্দেষ প্রদান করি। কিন্তু সেদিনের আমাদের নূরানি উস্তাদের দ্বারায় এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা লজ্জাবোধ করি, বিষয়টি জানা মাত্রই অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্থ করি।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উক্ত মাদরাসাটি দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। হঠাৎ এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কথা বলায় তারাও কষ্ট পান। তবে মাদরাসার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছে গ্রামবাসী।
আরএম/