ড. তুহিন মালিক ।।
করোনা ভাইরাসের আকার ২৭ থেকে ৩৪ কিলো বেস-পেয়ার (kilo base-pair) এর মতো। আবার কারো মতে, এটা নাকি .০২ ন্যানোমিটারের মতো। যা খালি চোখে দেখা সম্ভব না। এমনকি সাধারন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও না। শুধুমাত্র দ্বিমাত্রিক সঞ্চালন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রেই এই ভাইরাসটি দেখা যেতে পারে।
তার মানে, এটাকে কয়েক লক্ষ গুন বড় করলে একটি চালের দানার পরিমান সমান হবে। আর করোনা ভাইরাসের সামনে একটি চালের দানা বিশাল এক পাহাড়ের মতো। অথচ দেখুন, আজকে পুরো দুনিয়ার ৮০০ কোটি বিশাল মানুষ এই ক্ষুদ্রতম একটি ভাইরাসের সামনে কতটা অসহায়! কতটা শক্তিহীন!
আজ দুনিয়ার সব শক্তিশালী মানুষ, শক্তিশালী রাষ্ট্র-রাজা-বাদশা, সামরিক শক্তি, পারমানবিক অস্ত্র, - সবই আজ ক্ষুদ্রতম একটি জীবাণুর সামনে কতটা অসহায়! ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম একটি জীবাণু যদি এতটা শক্তিশালী হয়। তাহলে বিশ্ব মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা কতটা বড়। কতটা শক্তিশালী। আসলে, এই মহামারী আমাদের নিজেদের সেই ক্ষুদ্রতারই পরিচায়ক।
আসুন, আমরা নিজেদের মিথ্যা অহংকার-বড়াই, আত্মঅহমিকা, আর মিথ্যা বাহাদুরী পরিত্যাগ করে বিশ্ব মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে যার যার কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি। আর নিজেকে, নিজের পরিবারকে এবং আশেপাশের সবাইকে এই মরনঘাতী মহামারী থেকে রক্ষার্থে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি। পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করি। সাহায্য চাই।
আর আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলছেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা বাকারা : ১৫৩)। আল্লাহ বলেন, ‘আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবোই।’ (সূরা বাকারা : ১৫৩)। কারন, দুনিয়া তো একটি পরীক্ষা কেন্দ্র মাত্র! আর পরীক্ষা জিনিসটা তো সবসময় একটু কঠিনই হয়। আর “যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।” (সূরা ত্বলাক : ৩)
(ফেসবুক থেকে নেয়া)
-এএ