বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইবতেহাল আবু সাঈদ এর চিৎকার: গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রে মাইক্রোসফট কিভাবে সহায়তা করছে? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায়  ঢাকায় আগত নতুন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক: ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনা প্রস্তাব, যুদ্ধ না শান্তিপূর্ণ সমাধান? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসায়  দেশব্যাপী সরকারি ফার্মেসি চালু, অল্পদামে মিলবে ২৫০ রকম ঔষধ বাংলাদেশে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এনডিবি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদান কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ বারিধারা মাদরাসায় হেফাজতের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সভা

করোনা প্রতিরোধে মুফতি তাকি উসমানির জরুরি বার্তা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে সৃষ্ট করোনাভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন ধর্মীয় নেতারা। করোনা শিকার অনেক মুসলিম দেশও এ মহামারি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। বিভিন্ন দেশে মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

করোনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি ও স্কলার মুফতি তাকি উসমানি। জরুরি ভিডিও বার্তাটি অনুবাদ করেছেন জুলফিকার জাহিদ।


বিশ্বব্যাপী দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। অনেকেই মনে করেন এ রোগ থেকে বাঁচতে শরয়ি বিধানের পরিপন্থী চলতে হবে, এ ধারণা মোটেও সঠিক নয়।

শরিয়তের প্রবর্তক নবী করিম সা. স্বয়ং এ জাতীয় রোগ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন। এ ব্যাপারে তার স্পষ্ট বর্ণনা হলো, আক্রান্ত এলাকার লোকজন বাইরে যাবে না। এবং বাহির থেকে কেউ আক্রান্ত এলাকায় প্রবেশ করবে না। এ কথার উপর আমল করাটাই মূলত শরিয়তের নির্দেশনার উপর আমল করা।

15 March Free Boi-Radib

সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেই নির্দেশনা দেওয়া হয় তার সাথেসাথে শরয়ি বিধান পালনেও তৎপর থাকতে হবে। অভিজ্ঞ ডাক্তাররা যেসব পরামর্শ দেন তা মেনে চলা অপরিহার্য।

জনসমাবেশে যেহেতু এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি তাই যথাসম্ভব তা এড়িয়ে চলা। বর্তমানে জনসমাবেশ না করাই উত্তম। বিয়ে- শাদির আয়োজন বিলম্বে অথবা সংক্ষেপেই সেরে ফেলা উচিত। হাদিসেও ধুমধামে বিয়ে-শাদির আয়োজন না করে সংক্ষেপেই করার কথা এসেছে।

জুমা ও অন্যান্য ফরজ নামাজের আগে পরের সুন্নতগুলো নিজ ঘরে পড়ার চেষ্টা করা। নিজ ঘরে সুন্নত পড়ার বিষটি হাদিসেও এসেছে। এটাই উত্তম। যথাসম্ভব বাড়ি থেকেই অজু করে আসা। ইমামদেরও উচিত কেরাত সংক্ষিপ্ত করা। প্রয়োজনের সময় কেরাত ছোট করাই উত্তম।

এছাড়াও মুসাফাহা না করার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের যে নির্দেশনা আছে তা মেনে চলা উচিত। ভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে ফরজ ওয়াজিব নয় এমন সব বিধান ছাড়তে কোন অসুবিধা নেই। এটা নিজের জন্য এবং নিজের সাথীদের জন্যও কল্যাণ বয়ে আনবে। মহামারীর সময় এটাই নববী নির্দেশনার অনুসরণ হতে পারে।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ