মুফতি তারেক মাসুদ ।।
অনেক ওলামায়ে কেরামের মতে, ‘ব্রাশ মিসওয়াকের সমান’। কিন্তু অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম ব্রাশকে মেসওয়াকের বিকল্প বা সমপর্যায়ের মনে করেন না।
প্রথমত তারা বাহ্যিক দিক থেকে ব্রাশকে মেসওয়াকের সমপর্যায়ের মনে করেন না।দ্বিতীয়তঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে যে ফজিলত বর্ণিত হয়েছে তা শুধু মেসওয়াকের জন্য।
তবে কেউ যদি ব্রাশ দ্বারা মেসওয়াক করার উদ্দেশ্য নেয় তাহলে টুথপেস্ট মেসওয়াকের সমপর্যায়েরই হবে।
যারা ব্রাশকে মেসওয়াকের সমপর্যায়ের বলেছেন, তারা মেসওয়াক করার উদ্দেশ্য কে প্রাধান্য দিয়েছেন। আর যারা ধারা বর্ণনা কে প্রাধান্য দিয়েছে তারা ব্রাশকে মেসওয়াকের সমপর্যায়ের মনে করেন না।
চিকিৎসা বিজ্ঞানও বলে ব্রাশ মেসওয়াকের সমপর্যায়ের না। আসলে প্রায় সব টুথপেস্টই দাঁতের ক্ষতি করে। এমন টুথপেস্ট কমই আছে যেটা দাঁতের ক্ষতি করে না এবং দাঁতের জন্য উপকারী।
সুতরাং, কোনও দিক থেকে ব্রাশ মেসওয়াকের সমপর্যায়ের হতে পারে না। কারণ মেসওয়াক হচ্ছে অকৃত্রিম আর ব্রাশ হচ্ছে কৃত্রিম। আর পৃথিবী আস্তে আস্তে অকৃত্রিম জিনিসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে অনেক রোগের চিকিৎসা এখনও বের হয়নি কিন্তু অকৃত্রিম জিনিসের মধ্যে তার সমাধান রয়েছে।
এছাড়াও আমরা যখন মেসওয়াক করি তখন মেসওয়াক দাঁত দ্বারা চিবিয়ে নেই। আর দাঁতের মাধ্যমে চিবিয়ে মেসওয়াক করা সুন্নত। ডাক্তাররা বলেছেন, দাঁতে জীবাণুর কারণে মাড়ির দাঁতে রক্ত সঞ্চালন হয় এবং মেসওয়াকের দ্বারা দাঁতের মুখগুলো খুলে যায়। এছাড়াও মেসওয়াক দাঁতের জন্য নানাভাবে ব্রাশের তুলনায় উপকারী ।
ব্রাশ কখনো চাবানো হয় না তাই কৃত্রিম ব্রাশ কখনো অকৃত্রিম মেসওয়াকের সমপর্যায়ের হতে পারেনা। এজন্য একেবারে মেসওয়াক না করা থেকে ব্রাশ করা উত্তম।
সুতরাং ব্রাশ করলে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায় হয়ে যাবে। কারণ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হলো দাঁতকে পরিষ্কার রাখা। তাই সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আদায় করার জন্য ব্রাশ করলেই যথেষ্ট । মেসওয়াকের যে ফজিলত, তা শুধু মেসওয়াক করলেই পাওয়া যাবে।
জেআরটি মিডিয়া অবলম্বনে যুবায়ের আহমাদ।
আরএম/