আল আমিন (বাপ্পি)
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ জেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী একটি কওমি মাদরাসা দারুল উলুম বৈশ্বপাট্রা। মাদরাসাটির প্রাতিষ্ঠানিক বয়স দুই বছর, মাদরাসাটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই প্রতিটি জাতীয় দিবসের স্বকীয়তা বজায় রেখে দিবসগুলো পালন করে আসছে।
১৬ই ডিসেম্বর, ২৬শে মার্চ, ২১শে ফেব্রুয়ারি ইত্যাদি দিবসগুলোর প্রচলিত উদযাপন বাদ দিয়ে শহিদদের জন্য দোয়া, দিবসগুলোর ইতিহাস সামনে রেখে তার উপর বক্তৃতা এবং একটি সুন্দর জাঁকজমকপূর্ণ র্যালি বের করে।
এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গতকাল একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে ছাত্রদের মাধ্যমে একটি জাঁকজমকপূর্ণ র্যালি বের করে কর্তৃপক্ষ।,র্যালিটি আঠারবাড়ি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে মাদরাসাতে এসে শেষ হয়।
পরে জোহরের নামাজ পর ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ১৯৫২ সনের একুশে ফেব্রুয়ারিতে কি ঘটেছিল, তার গুরুত্ব এবং ফলাফল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এরপর মাদরাসার ছাত্ররা মাতৃভাষার গুরুত্ব এবং তাৎপর্যের উপর শিক্ষামূলক বক্তৃতাদান করে।
পরে কোরআন খতমের মাধ্যমে ৫২’র ভাষাশহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করার মাধ্যমে একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
দারুল উলুম বৈশ্বপাট্রা মাদরাসার পরিচালক মাও.আজিজুল হক হেলাল আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের মনে দেশ প্রেম জাগাতেই মূলত বছরের প্রতিটি জাতীয় দিবস ব্যতিক্রমভাবে উদযাপন করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, আমরা কওমি মাদরাসার প্রচলিত কিছু রীতি বাদ দিয়েছি। সেগুলো হচ্ছে- আমরা বাৎসরিক কোন মাহফিল করি না, এর পরিবর্তে ইসলাহি মাহফিল করে থাকি, যেখানে বিভিন্ন বুজুর্গদেরকে দাওয়াত দেয়া হয় এবং তারা এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে ইসলাহমূলক আলোচনা করে থাকেন।
মাও.আজিজুল হক হেলাল আরো বলেন, আমরা প্রচলিত ধান কালেকশন, টাকা কালেকশন এবং বাঁশ কালেকশনের প্রথা বাদ দিয়েছি। আর এ সমস্ত কালেকশনগুলো সাধারণত গ্রাম-গঞ্জে হয়ে থাকে, তাই আমরা চাচ্ছি এই কালেকশন প্রথাটা আস্তে আস্তে উঠে যাক এবং কোমলমতি শিশুরা এর থেকে দূরে থাকুক।
আরএম/.