সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

কাতারে ইসলামি শিল্পের অনন্য জাদুঘর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ইসলামি শিল্পের অনন্য জাদুঘর কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত। এ জাদুঘরটি স্থপতি আই. এম. পাই নকশা করেছেন।

উইকিপিডিয়ার বরাতে জানা যায়, ইসলামি শিল্পের যাদুঘরের মূল ভবনের পেছনে একটি ২৮০,০০০ বর্গমিটার বিশিষ্ট পার্ক রয়েছে। পাঁচতলা বিশিষ্ট এই জাদুঘরে রয়েছে একটা উপহারের দোকান, পাঠাগার, শ্রেণীকক্ষ এবং একটি ২০০-আসন বিশিষ্ট থিয়েটার। নামাজ পরা ও ওজু করার জন্য জাদুঘরে রয়েছে বিশেষ স্থান। এছাড়া জাদুঘরে আছে রেস্টুরেন্ট, যেখানে আরবি খাবারের পাশাপাশি ফরাসি, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবার পাওয়া যায়।

Museum of Islamic arts SOP.jpg

জাদুঘরটির স্থাপত্য প্রাচীন ইসলামি স্থাপত্য দ্বারা প্রভাবিত। তথাপি এর রয়েছে অনন্য স্থাপনাশৈলী। এই স্থাপনা শৈলীর ভবন এই অঞ্চলে এটাই প্রথম। জাদুঘরে ইসলামি শিল্পকলার বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। এছাড়া গবেষণা ও পড়ার জন্য আছে পাঠাগার। সাবিহা আল খেমির ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।

মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট ৪৫,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত। স্থানটি আসলে একটা কৃত্রিক উপদ্বীপ, এখান থেকে দোহা উপসাগরের দক্ষিণ প্রান্ত দেখা যায়। জাদুঘরটির নির্মাণ কাজ ২০০৬ সালে শেষ হয়, কিন্ত পরবর্তীকালে কয়েকবার জাদুঘরের অভ্যন্তরীণ নকশায় পরিবর্তন করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৮ সালের ২২ নভেম্বরে জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বরে।

Doha skyline from the Museum of Islamic Art, Doha, Qatar.jpg

জাদুঘরটির স্থপতি ছিলেন আম. এম. পাই। এসময় তার বয়স ছিল ৯১ বছর। নকশা করার পূর্বে আই. এম. পাই প্রায় ছয় মাস ধরে মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করেন মুসলিম স্থাপত্য ও ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য।

এছাড়া তিনি ইসলামিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে পড়ালিখা করেন। জাদুঘরের জন্য প্রস্তাবিত সবগুলো স্থানকে অগ্রাহ্য করে আই. এম. পাই কাতার কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নতুন স্থানের আবেদন জানান। এর কারণ ছিল এমন একটি স্থানে জাদুঘরটি নির্মাণ করা যাতে জাদুঘরের উপরে ভবিষ্যতে স্থাপনা দখলের সম্ভাবনা না থাকে।

Museum of Islamic Art, Doha 00 (116).JPG

পরবর্তিতে জাদুঘরটি দোহা উপসাগরের উপর নির্মিত হয়। এর পাশে নির্মাণ করা হয় একটি পার্ক। পাই কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন লুভর জাদুঘর নকশায় তার সহকারী প্রতিষ্ঠান উইলমোট এন্ড অ্যাসোসিয়েটসকে এই কাজে নিয়োগ দেবার জন্য। অনুমতি পাবার পরে এই কাজে আরোক নিযুক্ত হয় ভবনের আলো নকশাকারী প্রতিষ্ঠান আইসোমেট্রিক্ত লাইটিং ডিজাইন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক নকশা প্রতিষ্ঠান এভি কনসালটেন্টস। কাঠামোগত নকশার জন্যে কাজ করেছে লেসলি এ. রবার্টসন অ্যাসোসিয়েটস। সূত্র: উইকিপিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ