সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

পৃথিবীর পুরানো মসজিদগুলোর অন্যতম আফ্রিকার প্রথম আজান হওয়া উকবা মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।।

ঐতিহাসিক একটি মসজিদ ‘উকবা মসজিদ’। এই মসজিদ তিউনিশিয়ার কাইরুয়ান নগরীতে অবস্থিত। এ কারণে বিশ্বের কাছে মসজিদটি কাইরুয়ান জামে মসজিদ নামেও বহুল পরিচিত।

৬৭০ সালে আরব সেনানায়ক উকবা ইবনে নাফি কাইরুয়ান নগরীতে এটি নির্মাণ করেন। পরে বহুবার এর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। এর বিস্তৃতি প্রায় ৯ হাজার বর্গমিটার। মসজিদে পাঁচটি গম্বুজ ও নয়টি প্রবেশদ্বার রয়েছে। মসজিদের প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে ইট ও পাথর দিয়ে। পরবর্তীকালে এটি মাগরেবে অবস্থিত অন্যান্য মসজিদের মডেল হিসেবে গণ্য হয়।

প্রাচীনতম এই মসজিদটি বিশ্বের খ্যাতিমান কয়েকটি মসজিদের মধ্যে অন্যতম। উকবা মসজিদ উত্তর আফ্রিকার চিত্তাকর্ষক ও বৃহৎ স্থাপনার একটি। সমসাময়িক প-িতরা এই মসজিদকে ইসলামিক চিন্তাধারা এবং বিজ্ঞান শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করতেন।

উকবা মসজিদ উত্তর আফ্রিকার ইসলামিক চিত্তাকর্ষক ও বড় পুরাকীর্তিগুলোর একটি। এটি তৎকালীন পশ্চিম ইসলামিক দুনিয়ার প্রথম মসজিদ হিসেবে বিবেচিত। পরবর্তীকালে মাগরিবে স্থাপিত অন্যান্য মসজিদের মডেল ছিল এটি। আরবরা মরক্কো, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়াকে বলে মাগরিব, যার অর্থ পশ্চিম বা সূর্যাস্তের দিক।

উকবা মসজিদ কায়রোয়ানের বড় মসজিদ নামেও পরিচিত। সারা বিশ্বে এটি সুন্দর স্থাপত্য ও ইসলামিক শিল্পকর্মের অপূর্ব এক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। এর অবস্থান তিউনিসিয়ার কায়রোয়ান নগরে।

উকবা মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয় ৬৭০ সালে; প্রায় ১৩৪৯ বছর আগে। তবে এর বর্তমানে টিকে থাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয় নবম শতকে। আঘলাবীয় রাজবংশের সময়ে। এ রাজবংশের রাজত্বকাল ৮০০-৯১২ খ্রিষ্টাব্দ। মসজিদের স্থাপনায় কিছু অংশ পরে যোগ করা হয়েছে।

উমাইয়া যুগে মসজিদটি নির্মাণ করেন জেনারেল উকবা ইবন নাফি। তিনি মুয়াবিয়া রা: ও এজিদের সময় আরব জাহানের একজন সেনাপতি ছিলেন।

উকবা মসজিদের বহিঃপরিসীমা প্রায় ৪১৫ মিটার। এর অভ্যন্তরে রয়েছে মসিজদের মূল স্থাপনা বা নামাজ আদায়ের স্থান। এ মসজিদের রয়েছে একটি বিশাল আঙিনা, যা মার্বেল পাথরে পাকা করা। মসজিদের মিনার খুবই আকর্ষণীয় এবং বিশাল।

উকবা মসজিদের নির্মাণশৈলীতে দুর্গসদৃশ মজবুত দেয়াল লক্ষণীয়। পাথরনির্মিত এ দেয়াল ১ দশমিক ৯ মিটার পুরু। এর চার পাশেই রয়েছে বাঁধ বা দেয়াল। এগুলোতে বুরুজ রয়েছে। সেই যুগের বিবেচনায় প্রতিরক্ষার কারণেই হয়তো এমন ব্যবস্থা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ