আওয়ার ইসলাম: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিাযোগে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব আটক করে পুলিশ।
এই হামলার অভিযোগ ইবির মেইন গেট বন্ধ করে দিয়ে পদবি অংশের নেতা-কর্মীরা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পশাল ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব তার সহযোগীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এ সময় দলীয় টেন্টে যাওয়ার চেষ্টা করলে পদ বঞ্চিত মিজানুর রহমান লালন-ফয়সাল আরাফাত গ্রপের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে সাধারণ সম্পাদক রাকিবসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে ২১ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। এ সময় ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় সভাপতি-সম্পাদকসহ তার সমর্থকরা। পরে হামলার অভিযোগ এনে লালন-আরাফাত গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। হামলার জন্য পলাশ ও রাকিবকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন।
বিক্ষুব্ধ অংশের নেতা মিজানুর রহমান লালন বলেন, পলাশ ও রাকিব বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। তারা ককটেল হামলা করলে আমাদের গ্রুপের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তবে হামলার জন্য পলাশ ও রাবিক প্রতিপক্ষের কর্মীদের ওপর দোষ চাপান। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পলাশকে সভাপতি ও রাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করে গত ৬ মাস আগে ইবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মিদের বারবার বাধার কারণে তারা দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস ছাড়া। নতুন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করায় এ সংঘর্ষ হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি জাহাঙ্গীর আরিফ বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
আরএম/