আবদুল্লাহ তামিম।। মুসলিমদের সবচাইতে পবিত্র স্থান বলে খ্যাত পুণ্যভূমি সৌদি আরবের গুরুত্বের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। বিশেষ করে পৃথিবীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌদি আরব সব সময়েই একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর পবিত্র জন্মভূমি, ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল, পবিত্র কুরান শরিফ নাজিল সহ এরকম আরও অনেক কারণ রয়েছে যেজন্য মুসলমানদের কাছে সৌদি আরব একটি প্রিয় নাম।
এছাড়া পবিত্র মক্কা শরিফ, মদিনা শরিফ এবং পবিত্রও হজ ও উমরাহের মত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলি তো আছেই। শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, বরং অর্থনৈতিক ভাবেও সৌদি আরব অনেক প্রভাবশালী একটি দেশ। কাজের জন্য হিন্দু, খ্রিস্টান ও মুসলিম সহ নানা ধর্ম ও বর্ণের লোক পাড়ি জমায় এখানে। ভাল পরিবেশ, কর মুক্ত বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে উপমহাদেশ সহ এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা এবং অন্যান্য অঞ্চলের কর্মজীবী মানুষের কাছে সৌদি আরব একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। আজ এখানকার একটি আশ্চর্য মসজিদ নিয়ে কথা বলবো।
সৌদি আরবের হিল অঞ্চলে মাটির তৈরি অসাধারণ একটি মসজিদ আছে। কৌশলগত গুরুত্বের কারনে, মসজিদটি বেশ কয়েকবার উন্নতি এবং সংযোজনসহ সংস্কার করা হয়েছে।
মসজিদটিতে ৪০০ জন নামাজীর স্থান রয়েছে, এটি হিল অঞ্চলের অন্যতম প্রধান মসজিদ। এটি আল-হামেদ মসজিদ নামেও পরিচিত। ১৯১৫ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এর আশেপাশের স্থানের নাম অনুসারে আল-হামেদ নামকরন করা হয়েছিল।
এর স্থাপত্যটি কাদা ও পাথর নির্মাণ এবং কাঠের স্কোয়ার, কাঠ এবং খেজুর পাতা দিয়ে তৈরি একটি সিলিংয়ের সাথে যুগের অন্যান্য ভবনের মতো। কৌশলগত গুরুত্বের কারনে, মসজিদটি বেশ কয়েকবার উন্নতি এবং সংযোজন সহ সংস্কার করা হয়েছে।
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এর আওতায় মসজিদটিও ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত এ ঐতিহাসিক মসজিদটিতে পর্যটকদের ভীর লেগে থাকে।
-এটি