আব্দুল্লাহ আল মবিন ও মাহমুদুল হাসান
ইজতিমা ময়দান থেকে
সৃজনশীল ইসলামি পুস্তক প্রকাশক ও ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ তীরের কামার পাড়া রোডে ১নং অলিম্পিয়া গেটে ৫ম তলা লাল ভবনের নিচতলায় চলছে ইসলামি বইমেলা। এ মেলা চলবে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বিশ্ব ইজতেমায় আগত মসল্লিদের মধ্য থেকে অনেকেই এ মেলায় আসছেন। কিনছেন পছন্দের বই। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা তবুও কমছে না ক্রেতাদের সংখ্যা। সারাক্ষণ ভিড় লেগেই থাকছে। কেউ কেউ ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন। আবার অনেকেই ব্যাগ ভর্তি বই নিয়ে ফিরছেন ময়দানে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে নামকরা অনেক প্রকাশনী দেশ-বিদেশের লেখকদের রচিত ইসলামি বই নিয়ে মেলায় স্টল বসিয়েছেন। ইসলাম বিষয়ক বইয়ের বেশ সমৃদ্ধ পসরা চোখে পড়ার মতো সেসব স্টলে।
পবিত্র কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও তাফসির, হাদিস, সাহাবিদের জীবনী, তাবেয়ি ও বুজুর্গদের জীবনী, ইসলামের ইতিহাস, মাসআলা-মাসায়েল ও ঐতিহাসিক উপন্যাসসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের মৌলিক, গবেষণামূলক ও অনুবাদ গ্রন্থের যাবতীয় পসরা বসেছে এখানে।
মেলার প্রথম দিন থেকেই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বইমেলা। ক্রেতারা এই স্টল থেকে সেই স্টল ঘুরে সংগ্রহ করেছেন পছন্দের বই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্ব ইজতেমায় আসা তরুণরা এমন একটি বইমেলা পেয়ে খুবই আনন্দিত। প্রতিদিনই বই কিনতে মোলায় ভিড় করছেন শত শত পাঠক। লোক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বাড়ছে সমানতালে।
প্রতিটা স্টল ঘিরেই লক্ষ্য করা গেছে বই প্রেমিকদের আনাগোনা। বলতে গেলে, বেশ জমেছে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আয়োজিত এই ইসলামি বইমেলা। প্রকাশকরা বলছেন, আশানুরূপ বই বিক্রি হচ্ছে তাদের। বিক্রয়কর্মীরা বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন। প্রকাশরাও বেশ খুশি।
[caption id="" align="alignnone" width="960"] মাকতাবাতুল আসলাফ ও জাদীদ প্রকাশনের স্টলে বইপ্রেমীদের ভিড় জমেছে[/caption]
স্টল থেকে স্টলে ঘুরতে থাকা এক টগবগে তরুণের মুখোমুখি হলাম। নাম আলামিন। এসেছেন ময়মনসিংহ থেকে। মেলার কথা আপনি কীভাবে জেনেছেন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমি বিশ্ব ইজতেমায় শরিক হতে ময়মনসিংহ থেকে এসেছি, হঠাৎ শুনি ইজতেমা উপলক্ষে বইমেলা হচ্ছে। শোনা মাত্রই মনটা আনন্দে নেচে ওঠে। আমার প্রিয় লেখকদের বেশ কিছু বই এখানে পেয়েছি। অনেক আনন্দ পাচ্ছি।
মুন্সিগঞ্জ থেকে বিশ্ব ইজতেমায় আগত এক বই প্রেমী জানান, ইসলামি বইমেলা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ মেলা। ইসলামের প্রচার-প্রসার ও জ্ঞান অর্জনে এই মেলার কোন বিকল্প নেই। এই মেলা আরো বড়সর আকারে হওয়া এখন সময়ের দাবি বলেও জানান তিনি।
মেলায় মাকতাবাতুল আসলাফের স্টলে বসে থাকা প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং ম্যানেজার শফিক মুহাম্মদের মুখোমুখি হলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, ইজতেমা শুরু হওয়ার আগ থেকেই মেলা জমে উঠেছে। পাঠকরা আসছেন এবং পছন্দের বই কিনে ফিরছেন। আমরা মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ভাবে পাঠকদের ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করছি।
জাদীদ প্রকাশনের কর্ণধার মানযূর নোমানী বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে মেলার আয়োজন অনেক ফলপ্রসু হয়েছে। এতে করে তৃণমূল পর্যায়ের পাঠকরাও খুব সহজেই পছন্দের বই পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আমরা আশা করছি, ইজতেমায় আসা প্রতিজন পাঠকের হাতে ইসলামি বই তুলে দিতে পারব।
আরএম/