শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জীর বর্ণাঢ্য জীবন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দেশবরেণ্য আলেমেদীন আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী ইন্তেকাল করেছেন। রোববার বিকা৪ টা ৩৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

সিলেটের জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগন মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস, দেশের বিশিষ্ট এ হাদিস বিশারদ ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্ণাঢ্য ও সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী এ আলেম দাওয়াত-তাবলিগ, ওয়াজ-নসিহত, সমাজ সংস্কার, শিক্ষকতা, রচনা ও রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে রয়েছে তার সরব পদচারণা ছিল। আসুন, তার বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে জেনে নেই।

জন্ম ও বংশ: ১৩৫৯ হিজরী মোতাবেক ১৯৩৮ সালে  হবিগঞ্জ শহরের অদূরে ‘কাটাখালী’ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী জন্মলাভ করেন। তার পিতা শাইখ আব্দুন-নূর রহ. ছিলেন বিজ্ঞ আলেম ও সমাজ সংস্কারক। তার নানা আল্লামা আসাদুল্লাহ রহ. বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির একজন মুজাহিদ ছিলেন। শাইখ আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জীও নিজ এলাকায় ‘মুহাদ্দিস সাহেব হুযুর’ নামে ছোট-বড় সকলের নিকট পরিচিত।

শিক্ষাজীবন : অন্যদের মত তারও পড়াশোনার হাতেখড়ি পিতা-মাতার কাছেই। পিতা শাইখ আব্দুন-নূর রহ. ছিলেন একজন বিজ্ঞ আলিম ও সফল শিক্ষক। এরপর তিনি হবিগঞ্জের অদূরে রায়ধর গ্রামের ঐতিহাসিক মাদরাসা ‘জামিয়া সা’দিয়্যায়’ ভর্তি হন। সেখানে তিনি তার মামা আল্লামা মুখলিসুর রহমান রহ.(মৃত ১৪২২হি.) এর নিকট আরবী ব্যাকরণ ও আরবিভাষা রপ্ত করেন।

প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে তিনি উপমহাদেশের বিখ্যাত দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘জামিয়া আহলিয়্যা মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা’ চট্টগ্রামে গমন করেন। সেখানে তিনি ফিক্হ, উসূলে ফিক্হ, তাফসীর, উসূলে তাফসীর, হাদীস ও উসূলে হাদীস, মানতেক-ফালসাফাসহ ইসলামের বিভিন্ন শাখার গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করেন। অবশেষে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে ১৯৬০-৬১ইং সনে ‘দাওরায়ে হাদীস’ সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন।

উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান গমন : জ্ঞান আহরণের সুতীব্র আকাঙ্খায় কিশোর তাফাজ্জুল ছুটে এসেছেন বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। সবশেষ পাড়ি জমিয়েছেন তৎকালীন সূদুর পশ্চিম পাকিস্তানে। সেখানে ঐতিহাসিক ইসলামী বিদ্যাপিঠ ‘জামিয়া আশরাফিয়া লাহোর’-এ আরো গভীরভাবে হাদীস অধ্যয়নের জন্য দ্বিতীয়বার দাওরায়ে হাদীস ক্লাসে ভর্তি হন। সময়টা ছিল-৬১-৬২ ঈসায়ী।

লাহোরে থাকাকালীন তিনি ‘খানকায়ে রায়পুরের’ (সাহারানপুর) প্রসিদ্ধ বুযুর্গ ও আল্লাহর ওলী শাইখ আব্দুল ক্বাদের রায়পুরী রহ. (মৃত. ১৩৮২হি.) এর ইসলাহী মজলিসে উপস্থিত হতেন। তাঁর খানকায় এক সপ্তাহ অবস্থানও করেছেন। তাঁর জানাযায়ও উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি খানপুরে গমন করেন। সেখানে উপমহাদেশের বিখ্যাত তাফসীরবিদ ও হাদীস বিশারদ হাফিযুল হাদীস আব্দুল্লাহ দরখাস্তী (মৃত.১৪১৫হি.) রহ.এর নিকট তাফসীরের বিশেষ পাঠ গ্রহণ করেন।

এরপর ‘জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া করাচী’ মাদরাসায় বিশ্ববিখ্যাত হাদীস বিশারদ আল্লামা ইউসূফ বিনূরী রহ. (মৃত.১৩৯৭হি.) এর নিকট গমন করেন। তার কাছে তিনি তিনটি বিষয় ও কিতাবের বিশেষ দরস গ্রহণ করেন।

যথা-ক. বিষয়: হাদীস শাস্ত্র। কিতাব: সহীহুল বুখারী। খ. বিষয়: শরীয়তের বিধানের বিভিন্ন রহস্য ও ভেদ। কিতাব: হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা। গ.বিষয়: তাফসীরুল কুরআনিল কারীম। এভাবে তিনি পূর্বোক্ত আল্লামা আব্দুল্লাহ দরখাস্তী রহ. ও আল্লামা বিনূরী রহ.এর কাছে দরস গ্রহণের মাধ্যমে তাফসীর শাস্ত্রে বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করেন। এখানে তিনি কয়েক মাসের মত ছিলেন।

ভারত গমন : এরপর তিনি ভারতের বিখ্যাত মাদরাসা ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’ গমন করেন। দেওবন্দ গমনের পথে অনাকাঙ্খিত ভাবে তিনি তাবলীগ জামাতের বড় মুরুব্বী ও দাঈ আল্লামা ইউসূফ ইবনে ইলইয়াস কান্ধলভী রহ. এর সঙ্গ লাভে ধন্য হন। এক সফরেই তাঁর সাথে হযরতের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

হযরতের আবেদনে আল্লামা ইউসূফ কান্ধলভী রহ. হযরতকে সাহারানাপুরে শাইখুল হাদীস যাকারিয়া রহ.এর সোহবতে পৌঁছিয়ে দেন। তিনি শাইখুল হাদীস ছাহেবের সোহবতে দশদিনের মত ছিলেন। এখানে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি শাইখের সহীহুল বুখারীর দরসেও উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।

এরপর আল্লামা ইউসূফ কান্ধলভী রহ.-ই হযরতকে দারুল উলূম দেওবন্দে নিয়ে যান। দেওবন্দে তিনি ফেদায়ে মিল্লাত আসআদ মাদানী রহ.এর মেহমান হয়ে ধন্য হন। এখানে তিনি ঐতিহাসিক ‘মাদানী মনযিলে’ মেহমান হিসাবে অবস্থান করেন।

আল্লাহর কুদরতের কী কারিশমা! মাত্র একটি সফরে তিনি পৃথিবী বিখ্যাত কয়েকজন মনীষীর সান্নিধ্য পেয়ে গেলেন। সবই তাক্বদিরের ফায়সালা। আল্লাহ পাক যাকে বড় করতে চান তাকে এভাবেই পর্দার আড়াল থেকে গড়ে তুলেন তিলে তিলে। একসময় তা ফুল হয়ে সুবাস ছড়ায় পৃথিবীর বুকে।

দারুল উলূম দেওবন্দে তখন পাকিস্তানী কোন ছাত্র ভর্তি হওয়ার নিয়ম ছিল না। এদিকে ভর্তির সময়ও শেষ। এই দুই কারণে তিনি ভর্তি না হয়ে তৎকালীন মুহতামিম (প্রিন্সিপাল) ক্বারী তৈয়ব ছাহেব রহ.এর অনুমতিতে ‘খুসূসী দরস’ (বিশেষ পাঠ) গ্রহণ করেন। জামে তিরমিযী পড়েন শাইখ ইবরাহীম বলিয়াভী রহ.এর নিকট। তাফসীরে বায়যাবী পড়েন আল্লামা ফখরুল হাসান মুরাদাবাদী রহ.এর নিকট। তখন ক্বারী তৈয়ব ছাহেব রহ.এর হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগার-দরসেও উপস্থিত হয়েছেন। এভাবে ‘খুসূসী দরস’ শেষ করে বার্ষিক পরীক্ষার আগেই ১৯৬৩ সালে দেশে ফিরে আসেন।

কর্মজীবন : এ বিষয়ে তিনি নিজেই তার স্মৃতিচারণমূলক প্রকাশিতব্য পুস্তিকা ‘মণীষীদের স্মৃতিচারণে’-এ আলোচনা করেছেন। সেখান থেকে হুবহু হযরতের যবানে এখানে পেশ করা হল-

কুমিল্লার দারুল উলূম বরুড়া মাদরাসা : ‘পাকিস্তান ও ভারতে পড়ালেখা শেষ করে দেশে ফিরে প্রথমে কুমিল্লার দারুল উলূম বরুড়া মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করি। ৬৪-৬৬ ঈ. মোট তিন বছর এ মাদরাসায় হাদীস, তাফসীর ও ফুনূনাতের বিভিন্ন কিতাবের দরস দানের সুযোগ হয়।

আশরাফুল উলূম বালিয়া মাদরাসা : এরপর ৬৬ ঈ. সনের শেষে ময়মনসিংহের আশরাফুল উলূম বালিয়া মাদরাসার শাইখুল হাদীস মাওলানা মোহাম্মদ আলী ছাহেব কিশোরগঞ্জের মাওলানা আতহার আলী ছাহেবের মাদরাসায় চলে যান। তখন বালিয়া মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন মাওলানা দৌলত আলী ছাহেব। তিনি হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শাহ আব্দুল ওয়াহ্হাব ছাহেবের নিকট পত্র লিখলেন, বালিয়া মাদরাসার জন্য একজন শাইখুল হাদীস দেয়ার জন্য। শাহ ছাহেব তখন আমাকে চিঠি লিখে বালিয়া মাদরাসায় যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। বড়দের নির্দেশ অনুযায়ী ৬৯ ঈ. সন পর্যন্ত মোট তিন বছর বালিয়া মাদরাসায় ছিলাম। আগেও তিন, এখানেও তিন।

জামিয়া ইসলামিয়া ময়মনসিংহ : ১৯৬৯-৭১ ঈ. ১৬ ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত ময়মনসিংহ জামেয়া ইসলামিয়ায় দরসে হাদীসের খেদমতের সুযোগ হয়েছে। এখানেও তিন। এভাবে ‘তিনে তিনের’ এক আশ্চর্য ছন্দ তৈরি হয়ে গেল।

জামেয়া আরাবিয়া উমেদনগর, হবিগঞ্জ : ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে আসি। এলাকাবাসী ও মুরুব্বীদের অনুরোধে হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া আরাবিয়া উমেদনগর মাদরাসায় যোগদান করি। আজ অবধি এ মাদরাসাতেই আছি’।

বৈবাহিক জীবন : ময়মনসিংহের বিখ্যাত আলিম মাওলানা আরিফ রব্বানী রহ.(১৯৯৭ইং) এর কন্যাকে ১৯৬৭ ইং সনে বিবাহ করেন। হযরতের ৫ ছেলে ও ৪ মেয়ে। সবাই যোগ্য আলিম ও আলিমা হয়ে দ্বীনের বিভিন্ন খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

বাইতুল্লাহর যিয়ারত : আল্লাহর রহমতে হযরতের বহুবার হজ্জ ও উমরা করার সুযোগ হয়েছে। সর্বপ্রথম ৭৫ সালের শেষ দিকে বাইতুল্লাহর যিয়ারতের জন্য রওয়ানা হন। হজ্ব হয়েছিল ৭৬ এর শুরুতে।

আধ্যাত্মিক সাধনা ও খেলাফত লাভ : হযরত হবিগঞ্জী সাহেব জীবনের দীর্ঘ সময় বিভিন্ন মনীষীদের সান্নিধ্য থেকে আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্রতী হন। সর্ব প্রথম তিনি মুফতী আযম শাইখ ফায়যুল্লাহ রহ.এর নিকট বায়আত হন। এরপর হযরতের ইন্তেকালের পর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বৃহত্তর রেঙ্গা এলাকার প্রখ্যাত বুযুর্গ, খলিফায়ে মাদানী আল্লামা বদরুল আলম শায়খে রেঙ্গা (মৃত.১৯৮৫হি.) রহ. এর নিকট বায়আত হন।

তিনি শাইখুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর ছাত্র ও খলীফা ছিলেন। দীর্ঘদিন রিযায়ত-মুজাহাদা করেন। এরপর এক সময় শাইখ রেঙ্গা রহ. ইজাযত ও খেলাফত দান করেন। অধ্যাপনা ও অধ্যয়নের পর হযরতের সময় কাটে ইবাদত-বন্দেগীর মধ্যে দিয়ে। বিশেষত রমযান মাসে হযরতের রাত জাগা ও ইবাদত বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। রমযান মাসে দীর্ঘদিন যাবত তাহাজ্জুদের সময় নিজে কয়েক খতম কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করেন।

শাইখুল ইসলাম মাদানী রহ.এর মতানুসারে তাহাজ্জুদের জামাত করেন। আর প্রতি রমযানে শেষ দশকের ইতিকাফ নিয়মিত করতেন। এলাকার দ্বীনদার মানুষ ও দূর দূরান্ত থেকে আলিম-উলামারা ছুটে আসেন তার সাথে রমযানের ই’তিকাফ করার জন্য। কোন কোন বছর পুরো রমযান মাসই ইতিকাফে কাটান।

রাজনৈতিক জীবন : তিনি শুরু থেকেই ইসলামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের তিনি ‘নায়বে রঈস’ ছিলেন। আর হবিগঞ্জ জেলার প্রধানের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। হবিগঞ্জ ও দেশে ইসলাম বিরোধী কিছু হলে তিনি জমিয়তের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানান। মিছিল, মিটিং করেন। রাজপথে জনগণের সাথে নেমে একাত্মতা ঘোষণা করেন। যেকোন ইসলামী ইস্যুতে রাজপথে হুইল চেয়ারে বসে প্রতিবাদ করতেন। শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশগ্রহণ কররেতন।

রচনাবলী : ছাত্র জীবন থেকেই তার লেখালেখি শুরু হয়। তবে বেশ কিছু রচনা হারিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাঁর লিখিত যেসব গ্রন্থ পাওয়া য়ায় সংক্ষেপে তা হল-

১. تحذير الإخوان عن صحبة الأمارد والصبيان (ছোট বাচ্চাদের সাথে মিলামিশা করা থেকে সতর্কিকরণ) পুস্তিাকার উপর মুফতী আযম ফায়যুল্লাহ রহ. ও শাইখ কুরবান আলী রহ.এর অভিমত লেখা আছে। মূল গ্রন্থটি উর্দূতে লেখা। আজ থেকে অন্তত ৫০ বছর আগের রচনা।

২. اقتناص الشوارد في صحبة الأمارد এটি প্রথম পুস্তিকার আরবী সংস্করণ। পুস্তিকাটি আমার সংগ্রহে আছে। এটিও অন্তত ৫০ বছর আগে একবার ছেপেছে। এরপর আর ছাপেনি।

৩. جواهر الأدب في لسان العرب এটি আরবী ভাষায় কাছাকাছি বিভিন্ন শব্দের আভিধানিক পার্থক্যের উপর লিখিত এক অনবদ্য গ্রন্থ। গ্রন্থটি প্রায় আড়াইশ পৃষ্ঠার। হযরতের ছোট জামাতা বন্ধুবর মাওলানা তাহমিদুল মাওলার টীকা ও সম্পাদনায় গ্রন্থটি ছেপেছে। প্রকাশক: মাকতাবাতুল আযহার, ঢাকা । প্রকাশকাল: ২০১৩ ইং., মার্চ।

৪. হয়রত লুকমান আ.এর সতর্কবাণী।

৫. হাফিযুল হাদীস আল্লামা আব্দুল্লাহ দরখাস্তী রহ.এর জীবনী।

৬. দরসে হুজ্জাতুল্লাহ। এটি আমাকে দেয়া হযরত হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা কিতাবের এক দূর্লভ দরসের সংকলন। সংকলনটি অচিরেই প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে। পাঠকবৃন্দের নিকট দোয়া চাচ্ছি।

৭. মনীষীদের স্মৃতিচারণ। এটি হযরত কাছ থেকে অধম লেখক শুনে শুনে প্রস্তুত করেছি। এর কিছু অংশ মাসিক আল-কাউসার পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ অচিরেই তা বই আকারে প্রকাশ হবে।

৮. تحرير الأسانيد  এটি হযরতের বিভিন্ন হাদীসের গ্রন্থের সনদ ও ইজাযতের উপর লিখিত। গ্রন্থটি সংকলন করেছেন হযরতের জামাতা মাওলানা তাহমিদুল মাওলা। এটিও অচিরেই প্রকাশের পথে।

(হযরতের এই জীবনী জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগর, হবিগঞ্জ- এর ১০সালা দস্তারবন্দী স্মারক থেকে সংগৃহীত এবং ঈষৎ পরিমার্জিত)

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ