আওয়ার ইসলাম: ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ২০১৯ সালে মাদরাসা থেকে ২২৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৩ জন। বাকিরা বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সারা দেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন মাদরাসার জেডিসি পরীক্ষার ফলের প্রতিযোগিতায় এনএস কামিল মাদরাসা প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলে জানিয়েছেন মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী মো. শহিদুল ইসলাম।
শহিদুল ইসলাম জানান, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মাওলানা আযিযুর রহমান নেছারাবাদী (কায়েদ সাহেব হুজুর) ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। সাড়ে ৫ হাজার ছাত্রের পদচারণায় মুখরিত এ মাদরাসাটি অনার্স, মাস্টার্স, দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল (হাদিস, তাফসীর, ফিকহ ও আদব) ফলে শীর্ষ স্থান অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আমীরুল মুছলিহীন মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের বলিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষকতা, অরাজনৈতিক শিক্ষাঙ্গন, সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এ সন্তোষজনক ফল লাভ করা সম্ভব হয়েছে বলে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। দেশের বিভিন্ন মাদরাসার পাশের হার ও ফলের ভিত্তিতে তুলনা করে দেশ সেরা অবস্থানে এনএস কামিল মাদরাসা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৯৯৭৮ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৫৭৫ জন। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭৭২ জন। জেলায় পাশের হার ৯৯ দশমিক ০১ শতাংশ। ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় ২৩১৩ জন অংশ গ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১৫৯ জন। এদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৬ জন। পাশের হার ৯৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বোর্ড থেকে জেলাভিত্তিক ফলের কোনো তথ্য দেওয়া হয় না। অনলাইন থেকেই সবাই নেয়। আমাদের কাছে এ ধরনের ফলের জেলা ভিত্তিক কোনো তথ্য নেই।’
আরএম/