আওয়ার ইসলাম: মুসলিম শিশুদের বড়দিনের প্রভাব মুক্ত রাখতে একঝাঁক শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শিক্ষা, দাওয়াহ ও সামাজিক সেবামূলক সংগঠন তালিমুল উম্মাহ পরিষদ (ভাটারা থানা)।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিনে ভাটারা এবং পাশ্ববর্তী এলাকার চার্চগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান করে। মূলত বড়দিনের প্রভাব থেকে মুসলিম শিশুদের বাঁচাতেই তাদের এ আয়োজন।
আলহাজ্ব হাফেজ মুজিবর রাহমানের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠান চলে। শিক্ষার্থীরা কেরাত, হাম-নাত, খেলাধুলা প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণ করে। পরে বিকেল ৩ টায় স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও নূরের চালা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব শফীকুল ইসলাম বাসেক উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন।
কাউন্সিলর সাহেব নিজস্ব বক্তৃতায় বলেন, এমন সব সাংস্কৃতিক কার্যক্রম খ্রিস্টান মিশনারীরা করে আমাদের থেকে বাহবাহ্ কুড়িয়ে নিচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের শিশুদেরকে ইমান রক্ষার স্বার্থে আপনাদের এ যুগান্তকারী উদ্যোগকে আমি সার্বিকভাবে সমর্থন জানাচ্ছি।
উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মাওলানা আমজাদ হোসাইন হেলালী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজি, মাওলানা আবু তাহের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারে খ্রিস্টান মিশনারী সারাদেশে শিক্ষা-দীক্ষায় ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র শিশুদেরকে নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা-সংস্কৃতির নামে তৃণমূল শিশুদের মাঝে খ্রিস্টান ধর্ম চর্চা করার অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে বত্রিশটি গীর্জা কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর অন্তর্গত ভাটারা থানার নূরের চালা মহল্লায় ধারাবাহিক কার্যক্রম করে যাচ্ছিল।
বিষয়টি ভাটারা থানার স্থানীয় উলামায়ে কেরামের নজরে আসে। তারপর প্রতিরোধমূলকভাবে তারাও সক্রিয় হয়ে উঠেন। স্থানীয় এবং জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ছাত্রদের উদ্যোগে কোরআন শিক্ষা ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার জন্য হতদরিদ্র ও শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদেরকে নিয়ে সেখানে প্রাথমিকভাবে সাপ্তাহিক মাদরাসা গড়ে তুলা হয়।
উদ্যোক্তাদের নিজস্ব খরচে প্রতিষ্ঠান চলার পর তালিমুল উম্মাহ পরিষদ (ভাটারা থানা) সমমনা হয়। বর্তমানে সাপ্তাহিক কোরআন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মূল দায়িত্ব এবং কার্যক্রম পরিচলনা করছেন তানিমুল উম্মাহ পরিষদ। আজ অবধি প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের ছয় বছর পেরিয়েছে। ইতিমধ্যে তিনটি শাখা কেন্দ্রিক আটশত শিশু ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
আরএম/