আওয়ার ইসলাম: ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে দারুল উলুম দেওবন্দ আগামী ৫ জানুয়ারী পর্যন্ত বন্ধ রাখতে চেষ্টা করে সরকার। কিন্তু মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সরকারের সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এবার দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দও সেই পথেই হাঁটল।
দারুল উলুম ওয়াকফে দেওবন্দকে মাদরাসা বন্ধ ঘোষণার জন্য সরকার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান মুহতামিম মাওলানা মোহামম্মদ সুফিয়ান কাসেমী ও নায়েবে মুহতামিম ড. মাওলানা সাকিব কাসেমী।
তারা বলেছেন, উম্মু মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ পর্যন্ত মাদরাসা বন্ধের ঘোষণা দেবে না, আমরাও কোন পদক্ষেপ নেব না। তবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি মনযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তারা।
এদিকে দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিক্ষোভের সম্ভাবনার কারণে দারুল উলূম এলাকায় পুলিশ বাহিনী ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও পুরোপুরি সক্রিয় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার আশঙ্কায় বন্ধ ঘোষণা করছে ভারতের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশাসনের চাপেই এ বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে বলে জানা যায়। সে ধারাবাহিকতায় ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেওবন্দকেও গতকাল বন্ধ ঘোষণা করতে আবেদন জানায় প্রশাসন। দারুল উলুম দেওবন্দ সরকারের সে আবেদন প্রত্যাখান করে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের ঐতিহ্যবাহি দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দেও নাগরিত্ব বিলের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিক্ষোভ। দফায় দফায় পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষকদের আহ্বানে বিক্ষোভ থেকে ফিরে যায় দারুল উলুমের ছাত্ররা।
এদিকে সোমবার থেকেই দারুল উলুমের শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভে থেকে দূরে রাখতে মাদরাসায় পুলিশ টহল চালায়।শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহরানপুর জেলার ইন্টারনেট সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সূত্র: তাসির ডটকম।
আরএম/