আবদুল্লাহ তামিম ♦
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে কেন্দ্র করে জামিয়া ও আলীগড়ের কোলাহল শুরু হওয়ার পর থেকেই পুরো জেলা ও বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আন্দোলনে নেমে আসে হাজার হাজার ছাত্র ও সাধারণ মানুষ।
ভারত প্রশাসন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কয়েক শ’ প্লাটুন সেনা মোতায়ন করে। বিভিন্ন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেয়া হয়। ইসলামি বিদ্যাপিঠের শহর দেওবন্দে প্রশাসন বিশেষ সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে। শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে দেওবন্দের উস্তাদদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন প্রাশাসনিক কর্মকর্তারা। কর্তৃপক্ষকে মাদরাসা ১৫ দিনের জন্য মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করতেও আহ্বান জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার প্রাশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে এ আবেদন জানান। ছাত্রদের আন্দোলনে অংশ না নিতেও আহ্বান জানান তারা।
দেওবন্দের বৈঠকে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসিম নোমানী ও অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কমিশনার সঞ্জয় কুমার, ডিআইজি উপেন্দ্র আগরওয়াল, ডিএম অলোক পান্ডে এবং এসএসপি দীনেশ কুমার পি উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, আলিগড়ের এএমইউ ও দিল্লির জামিয়া মিলিয়ায় শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের পর থেকে সারাদেশের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাহারানপুর জেলা প্রশাসন কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বলে তারা মাদরাসা বন্ধ করতে আহ্বান জানায়।
জাগরণ হিন্দি থেকে আবদুল্লাহ তামিমের অনুবাদ
আরএম/