আওয়ার ইসলাম, ডেস্ক : প্রশ্ন: ক) মানতিক সম্পর্কে কেউ বলেন, এর কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু শুধু সময় নষ্ট করা। আবার অনেকে এর পিছনে যথেষ্ট মুজাহাদা করে, মেধা খাটায়। আর আসল কুরআন ও হাদীস নিয়ে গবেষণার সময় হলে পড়া শেষ হয়ে যায়। তাহলে এ শিখার কী অর্থ? কেউ কেউ বলেন, মুহাক্কিক আলেম হওয়ার জন্য বিষয়টির যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। কুরআন-হাদীসের সূক্ষ্ণ তত্ত্ব ও ইঙ্গিত বুঝতে সহায়ক। তাই বিষয়টি অতীব প্রয়োজন।
এখন হজরতের কাছে জানার বিষয় হল, বিষয়টির বাস্তবতা কতটুকু? কতটুকু অর্জন করা জরুরি? সুন্দর পরামর্শ প্রার্থী।
খ) মানতিকের কিতাবগুলোতে কিছু বহছ আছে যথা-
كل ج ب ـ موجهات عكس نقيض
ইত্যাদি খুরাফাতের শামিল হবে কি না?
গ) আমাদের জামাতে কুতবী-এর তাছদীকাত অংশ পড়ানো হয়। কিতাবটি কোন পদ্ধতিতে পড়ব জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
ঘ) আমার মধ্যে তাহকীকের মাদ্দা কম। কোনো বিষয় মা লাহা ওয়া মা আলাইহা বুঝার উদ্দীপনা নেই। মুতালাআয় মনোযোগের বেশ অভাব। ভাসা ভাসা পড়ি। উদ্দেশ্য থাকে শুধু কিতাব শেষ করা। সময় নির্ধারণ করে প্রায় সময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে ফেলি। কিন্তু অনেক জায়গা কাঁচা থেকে যায়। আমার কী করণীয়? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর: ক, খ ও গ) মানতিক সম্পর্কে এই বিভাগে ইতোপূর্বে অনেক কিছু লেখা হয়েছে। সংক্ষেপে আপনাকে শুধু এটুকুই বলতে চাই যে, আপনি শায়েখ আবদুল ফাত্তাহ রাহ.-এর কিতাব
العلماء العزاب الذين آثروا العلم على الزواج
এর মধ্যে ইমাম নববী রহ.-এর জীবনী হাশিয়াসহ মুতালাআ করুন এবং হাকীমুল উম্মত রাহ.-এর কিতাবসমূহ থেকে নির্বাচিত রেসালা ‘উলূম ওয়া ফুনুন’ ও ‘ নেসাবে তা’লীম’ থেকে মানতিক বিষয়ক আলোচনা মুতালাআহ করুন।
ইনশাআল্লাহ আপনি ভারসাম্যপূর্ণ ও অনুসরণীয় রায় পেয়ে যাবেন। তর্ক বাদ দিয়ে কাজ করা উচিত। সময় খুবই মূল্যবান, অযথা তর্ক-বিতর্ক করে সময় ব্যয় করা কাম্য নয়।
ঘ) এভাবেই মুতালাআ করতে থাকুন। তবে প্রত্যেক জামাতের বুনিয়াদী কিতাবগুলোর কিছু জায়গা থেকে নিজের তা’লীমী মুরববীকে শুনিয়ে কিতাবগুলো আপনার ভালোভাবে বুঝে আসছে কিনা তা নিশ্চিত করবেন। বুনিয়াদী কিতাবে দুর্বলতা থাকা উচিত নয়। মেহনত করে মজবুত করে নেওয়া জরুরি।
*পরামর্শ দিয়েছেন মারকাযুদ দাওয়া আল ইসলামীয়ার আমিনুত তালিম মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মালেক। - মাসিক আল-কাউসারের সৌজন্যে/ আরএম/