আওয়ার ইসলাম: আরবি ভাষাকে জনপ্রিয় করতে দেশে প্রথমবারের মতো আরবি ভাষা দিবস পালন করবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। ‘বাংলা শিখি আরবি শিখি, দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখি’ স্লোগানে আগামী ১৮ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিন রাজধানীর ‘ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে’ এক আলোচনা সভা ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহনান উল্লাহ। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেশের সকল ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এবং রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র মতে, আরবি ভাষা চর্চার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে দেশের ১ হাজার ৩৪২ ফাজিল ও কামিল মাদরাসাসহ বিশেষ বিশেষ স্থানে ১০ হাজার পোষ্টার লাগানো হবে। আরবি ভাষা রচনা প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে এরই মধ্যে ৬টি জাতীয় দৈনিকে আরবি রচনা আহ্বান করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত রচনা থেকে একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিচারক প্যানেল অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ৫৮ জনকে বিজয়ী নির্বাচিত করবেন। এর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ফাজিল ‘ক’(পাস), ফাজিল খ (অনার্স) এবং ‘গ’ কামিল ও মাস্টার্স বিভাগ থেকে তিনজন করে (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়) মোট ১২জনকে পুরষ্কার দেওয়া হবে।
তিন গ্রুপের মধ্যে প্রথম হওয়া গ্রুপ ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট এবং সনদ উপহার দেওয়া হবে। ২য় পুরষ্কার প্রাপ্তদের ৭৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট এবং সনদ এবং ৩য় পুরষ্কার প্রাপ্তদের ৩৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট এবং সনদ দেওয়া হবে।
এই ১২ জনের পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে ২৮ বিজয়ী প্রতিযোগিদের বিশেষ পুরষ্কার দেওয়া হবে। এছাড়াও রচনা প্রতিযোগিতায় ৫৮জন বিজয়ীদের সবাইকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে।
সার্বিক বিষয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, আরবি কুরআন হাদিসের ভাষা, সর্বাধিক প্রাচীন অবিকৃত ভাষা, শ্রমবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ভাষা, আরবি জাতিসংঘের অন্যতম দাফতরিক ভাষা এগুলো বিবেচনা করে সবার উচিৎ এই ভাষায় দক্ষ হওয়া।
তিনি বলেন, আরবি ভাষা অন্যান্য ভাষার মানুষকে সমৃদ্ধ করে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজভাবনার মাধ্যম হচ্ছে আরবি ভাষা। এছাড়াও আরবি ভাষা অর্থ উপার্জনের পথকেও সুগম করে বলে মনে করেন তিনি।
আরএম/