আওয়ার ইসলাম: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দুই সেমিস্টার (জুলাই ২০১৯ - জুন ২০২০) বহিষ্কার ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এআইএস) বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী বাবুল শিকদার বাবু, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র মুহাম্মদ নয়ন খান, নিয়ামুল ইসলান, মনিমুল হক, আইন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র অমিত গাইন, ২য় বর্ষের ছাত্র মানিক মজুমদার ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র রনি খান।
বহিষ্কারাদেশের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক অভিযানে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীসহ ১২ জনের একটি চক্রকে আটক করা হয়। এর মধ্যে সাতজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মুহা. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন সংক্রান্ত প্রতারণার ঘটনায় সাত শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। এ কারণে গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ড সভা করে ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ডের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মুহা. মনিরুজ্জামান জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১২ সদস্যকে আটকের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ৯ নভেম্বর রাতে তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করে। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলাটি তদন্ত করছে।
-এএ