নুরুল্লাহ্ আশরাফী
দেওবন্দ থেকে
বাবরি মসজিদ ইস্যুতে আগামী ৯ দিন মাদরাসা থেকে বাহিরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ছাত্রদের প্রতি বিশেষ নির্দশনা জারি করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর জেলার দারুল উলুম দেওবন্দ।
প্রতিষ্ঠানটির মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় ছাত্রদের প্রতি ৯ থেকে ১৭ নভেম্বর মাদরাসার গণ্ডির বাহিরে যাওয়ায় প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই দিনগুলোতে কোন ধরনের সফর না করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি নিজ বাড়ি-ঘরে যাওয়ার জন্য সফর করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও সরকারের পক্ষ সোশ্যাল মিডিয়ায় গভীর পর্যেবেক্ষন করা হচ্ছে উল্রেখ করে টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকসহ সবধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন স্টাটাস দেয়া এবং কারো স্টাটাস শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
দারুল উলুম দেওবন্দের নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, মাদরাসার আশেপাশে সাদা পোশাকে প্রশাসনের লোকজন ঘোরাফেরা করছে। অতএব, সুপ্রীমকোর্ট থেকে দেয়া রায় সম্পর্কে কোন ধরনের ইতিবাচক/নেতিবাচক মন্তব্য না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেওবন্দ মাদরাসার আশপাশে শতশত পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। ছাত্রদের বাহিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও এই এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্কও ধীরগতিতে কাজ করছে।
এদিকে, বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় ভারতের উত্তরপ্রদেশে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। শনিবার রায় ঘোষণার পর থেকে মোট ১২টি এফআইআরে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আটক করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগকে।
কোনো গুজব যাতে না ছড়ায়, তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যবাসীর তৎপরতার ওপরও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি ওপি সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজন পড়লে রাজ্যের সর্বত্র সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বসানো হবে, যাতে গুজব ছড়িয়ে কেউ অশান্তিতে ইন্ধন জোগাতে না পারে।’’
ব্যক্তিগতভাবে সবকিছুর তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এ ছাড়াও খোলা হয়েছে এমার্জেন্সি সেন্টার, যাতে কোথাও গোলমালের খবর পেলেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া যায়। নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে গোটা রাজ্যকে।
আরএম/