আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ হস্তান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বাবা।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে সহপাঠী হত্যার বিচার দাবিতে দিনভর উত্তাল ছিল বুয়েট ক্যাম্পাস। একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিকেলে বুয়েট প্রোক্টরের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন নিহত আবরারের বাবা। সঙ্গে আসা স্বজনরা আবরারের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের কয়েকদফা বাকবিতণ্ডা হয় শেরে-বাংলা হলের প্রভোস্টের সঙ্গে। দিনভর এ নিয়ে নানা দর কষাকষির পর অবশেষে ফুটেজ দেখার অনুমতি পান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করে সিআইডি ও ডিবি পুলিশ। হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল, সহসভাপতি ফুয়াদ, ক্রীড়া সম্পাদক অনিক ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়নকে।
ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, অত্যাধিক আঘাতে রক্তক্ষরণের কারণেই আবরারের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আবরারকে তার নিজকক্ষ ১০১১ থেকে ২০১১ নং কক্ষে ডেকে নিয়ে যান কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর থেকেই নিখোঁজ তিনি। পরে রোববার ভোররাত ৩ টার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আবরারের খুনিদের বিচারের দাবিতে রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল নিয়ে বের হয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আরএম/