আওয়ার ইসলাম: বুয়েটের শেরে বাংলা হলে খুন হওয়া শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কুষ্টিয়ার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। জেলার কুমারখালী উপজেলা কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে মেধাবী ছেলের মৃত্যুর খবরে মা ছালেহা খাতুন বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবারের সদস্যরাসহ প্রতিবেশীরা। ভেজা চোখে তারা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইছেন।
এলাকাবাসী এবং আবরারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্কুল জীবন থেকেই সে মেধাবী, কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। তবে তিনি যথেষ্ট ধার্মিক ছিলেন।
নিহত আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ জানান, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড সেই ধারণাও নেই তাদের। আজ সকাল ১০টায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ’র কাছে ফোন করেন ফাহাদের এক রুমমেট। প্রথমে ফোন করে অসুস্থতার কথা জানালেও কিছুক্ষণ পরে ফোন দিয়ে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর খবর দেয় তার বন্ধুরা।
নিহত ফাহাদ রায়ডাঙ্গা গ্রামের ব্র্যাকের সাবেক কর্মকর্তা বরককউল্লাহ ছেলে। তিনি বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে-বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহ সভাপতি ফুয়াদকে আটক করেছে পুলিশ।
আরএম/