আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ বুয়েটের ক্যাম্পাসে পৌঁছেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে তাকে বহনকারী লাশবাহী গাড়ি বুয়েট ক্যাম্পাসের মসজিদের সামনে পৌঁছায়।
রাত ১০টায় বুয়েট ক্যাম্পাসের দুই তলা বিশিষ্ট মসজিদে আবরারের প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় উপস্থিত আবরার ফাহাদের বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এছাড়া আবরারের পরিবাবারসহ তার সহপাঠী, দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ এবং শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টরা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। মসজিদের সামনের মূল রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে দু’দফা জানাজার সময় ঘোষণা করা হলেও সিসিটিভি ফুটেজ হাতে না পাওয়ার প্রতিবাদে আবরারের সহপাঠী ১৭ ব্যাচের ছাত্ররা জানাজার সময় পিছিয়ে দেন।
জানাজা শেষে বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে আবরারের লাশবাহী গাড়িটি কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাসার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাজা নামাজ শেষ করে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের বাড়ি কুমারখালি থানার কায়ড়াঙ্গা গ্রামে। সেখানে তৃতীয় দফায় জানাজা সম্পন্ন করে মরদেহ দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শের-ই–বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চারজন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।
আটকরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য-গবেষণা সম্পাদক ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার এবং ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন। এছাড়া আটক বাকি পাঁচজনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি পুলিশ।
-এএ