বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইবতেহাল আবু সাঈদ এর চিৎকার: গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রে মাইক্রোসফট কিভাবে সহায়তা করছে? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায়  ঢাকায় আগত নতুন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক: ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনা প্রস্তাব, যুদ্ধ না শান্তিপূর্ণ সমাধান? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসায়  দেশব্যাপী সরকারি ফার্মেসি চালু, অল্পদামে মিলবে ২৫০ রকম ঔষধ বাংলাদেশে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এনডিবি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদান কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ বারিধারা মাদরাসায় হেফাজতের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সভা

ওলামায়ে দেওবন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা সুফিয়ান কাসেমী
মুহতামিম, দারুল উলুম দেওবন্দ (ওয়াকফ)

আমরা যদি পর্যবেক্ষণের দৃষ্টিতে দেখি যে আমাদের আকাবির ওলামায়ে দেওবন্দের মধ্যে এমন কী বৈশিষ্ট্য ছিলো, যার জোরে এই অঙ্গন থেকে এতো বিশাল সব ব্যক্তি তৈরি হয়েছেন?

কীভাবে দেওবন্দ ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় এতো বড় অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে?

তাহলে আমরা দেখতে পাবো, ওলামায়ে দেওবন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল চিন্তার ভারসাম্য; এই ভারসাম্যের কারণেই ওলামায়ে দেওবন্দ সর্বভারতীয় মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছে।

ওলমায়ে দেওবন্দের জ্ঞান ও জীবনদর্শন সম্বলিত বই ও লেখাগুলো অধ্যয়ন করো এবং তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেদের ভেতরে ভারসাম্যপূর্ণ চিন্তা তৈরি করো।

বর্তমান যুগ চিন্তাগত যুদ্ধের যুগ। ইসলামের উপর চতুর্দিক থেকে চিন্তাগত আক্রমণ হচ্ছে। ইসলামকে বিকৃত করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

এই সময় আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো চিন্তাগত আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া। ইসলামের পবিত্র বাণীকে অবিকৃতভাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। ইসলামের শুদ্ধ শিক্ষা পৃথিবীর সামনে পেশ করা।

যখন ভারত সাম্রাজ্যবাদী শক্তির করতলগত হলো, সেই সংকটময় সময়ে এই দেশে ইসলামের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে তোলাই ছিলো ওলামায়ে কেরামের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।

তাই দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা কাসেম নানুতুবী রহ. এমন কিছু মানুষ তৈরির উদ্যোগ নিলেন, যারা পরিপূর্ণ ইসলমী সংস্কৃতির পতাকাবাহী হবে এবং ইসলামী শিক্ষার আলোকে নিজেকে ও ইসলামকে রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে।

এই উদ্দেশ্য সামনে রেখেই দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো; যার দেড়শ’ বছর ইতিহাস আজ আপনাদের সামনে রয়েছে।

[রোজনামা খবরেঁ থেকে বাংলায় অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন রকিব মুহাম্মদ]

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ