আওয়ার ইসলাম: ডাকসু কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস।
৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নেই বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
২৭ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি মনসুরুল আলম মনসুর ও নবমনোনীত সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মনির হোসাইন এ মন্তব্য করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নেই। এই হটকারী সিদ্ধান্ত ডাকসুর গৌরবময় ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করেছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চর্চা নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্ত এদেশের ছাত্রজনতা কখনও মেনে নেবে না। ধর্মহীন রাজনীতিই হলো মানুষকে শোষণের অন্যতম হাতিয়ার। স্বাধীনতা পরবর্তী চার দশকে তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল মতের ছাত্ররাজনীতি চর্চা ও সহাবস্থান নিশ্চিত করা ডাকসুর অন্যতম কাজ, অথচ ডাকসু সিদ্ধান্ত নিয়ে যে কাজটি করতে চাচ্ছে তা কোনভাবেই বরদাশত করা হবে না।
ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও ছাত্র সমাজের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, অবিলম্বে এই অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশের সচেতন ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে ইসলামী ছাত্র মজলিস বৃহৎ কর্মসূচি ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান সংবাদ কর্মীদের এ তথ্য জানান।
আরএম/