আওয়ার ইসলাম: দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য পদচ্যুত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার বাবা কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুন্নবী চৌধুরী।
জাবির ভিসির সঙ্গে কথা বলার সময় রাব্বানী যেহেতু একটি প্রস্তাব দিয়েছিল, তাই শোভন উপস্থিত থাকায় হয়তো তার নামও চলে এসেছে, কিন্তু রাব্বানী নিজেই বলেছে শোভন কিছু জানে না’
আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) তার সাথে আলাপকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পদ থেকে নিজ পুত্র রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি আমার ছেলেকে চিনি, সে এ ধরনের কাজ করতে পারে না। আসলে ও একটু বোকা ছেলে, আগে থেকেই সহজ-সরল।”
শোভনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের অনেক কিছুই সাজানো আছে জানিয়ে শোভনের বাবা নূরুন্নবী চৌধুরী বলেন, “তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অনেকটা অতিরঞ্জিত, সাজানো ব্যাপার।” কমিটি দেওয়া নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে শোভনের বাবা বলেন, “এগুলো ভিত্তিহীন।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আসলে সে কিছুই জানে না। সেখানে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেন সেখানকার পরিস্থিতি ঠিক হয়।
আমার ছেলেকে আমি তো জানি। এ ধরনের নৈতিক স্খলন বলতে, এই যে আর্থিক বিষয়গুলো উঠে এসেছে, শোভনের দ্বারা আসলে এগুলো সম্ভব না। সে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। এগুলোতে শোভন জড়িত নয়। হয়তো সে সাথে গিয়েছে বলে তার নাম এসেছে।”
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় সদ্যবিদায়ী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শোভনের বাবা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে কথা বলার সময় রাব্বানী যেহেতু একটি প্রস্তাব দিয়েছিল, তাই শোভন উপস্থিত থাকায় হয়তো তার নামও চলে এসেছে।
কিন্তু রাব্বানী নিজেই বলেছে শোভন কিছু জানে না। কিন্তু সেখানে যেহেতু শোভন ও রাব্বনী দু’জনেই ছিল সেজন্য তার (শোভনের) নাম এসেছে।” তিনি বলেন, “আমার সন্তান আমি জানি। এগুলোতে অতিরঞ্জন আছে। সত্যতা থাকতে পারে কিন্তু এরমধ্যে বাস্তবতা ভিন্ন।”
শোভনকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে শোভনের বাবা ও আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, “এখানে আক্ষেপের কিছুই নাই।
নেত্রী ভালো মনে করেছিলেন দায়িত্ব দিয়েছিলেন, পদে বসিয়েছেন। নেত্রী ভালো মনে করছেন যে এদেরকে দিয়ে আর ভালো চলবে না, এদেরকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, এরা পদত্যাগ করেছে।”
-এটি