সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা পাবে দুই হাজার টাকা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নতুন পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে স্কুল ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য টাকা পাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বইয়ের সঙ্গে মাথাপিছু ২ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

তবে, পোশাক কিনতে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের হাতে সরাসরি টাকা দেয়া হবে, নাকি পোশাক কিনে তা বিতরণ করা হবে সে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেড় কোটি শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে প্রতিমাসে ১০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেয়া হয়। উপবৃত্তির টাকা যাতে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পায় সে জন্য রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মায়ের হাতে উপবৃত্তির টাকা তুলে দেয়া হয়। বিদ্যালয়গুলো অভিভাবক সভা করে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি চালু করার পর সারাদেশে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বেড়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার প্রায় ৮৯ শতাংশ। এছাড়া উপবৃত্তির কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হারও অনেক কমেছে।

তাই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরও বাড়াতে এবং ঝরে পড়ার হার আরও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে উপবৃত্তির টাকা দ্বিগুণ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন যেখানে একজন শিক্ষার্থী প্রতিমাসে ১০০ টাকা করে উপবৃত্তি পায়, তা দ্বিগুণ করে ২০০ টাকা করা হবে। প্রাথমিকে উপবৃত্তি দিতে এখন যেখানে মোট দেড় হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হয়, সেখানে উপবৃত্তির টাকা দ্বিগুণ করা হলে প্রয়োজন হবে তিন হাজার কোটি টাকা।

প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির টাকার পরিমাণ খুব কম, এমন অভিযোগ করে উপবৃত্তির টাকার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অভিভাবকরা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছেন। এছাড়া পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি পোশাক ও খাতা, কলম ও স্কুলব্যাগসহ অন্যান্য উপকরণ কেনাকাটায় বরাদ্দ দেয়ার দাবি রয়েছে অভিভাবকদের।

এর আগে গতকাল শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন কুড়িগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, ‘আগামী বছর শুরুর দিন দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বইয়ের পাশাপাশি দুই হাজার করে টাকা দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের স্কুলের পোশাক কেনার জন্য এ টাকা দেয়া হবে।’

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়গুলোকে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় করে সাজানো হচ্ছে ক্লাসরুম। আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিত করতে এতসব আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পে যারা দুর্নীতি করছেন তারা কেউ মাপ পাবেন না। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। মনে রাখবেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন।

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ