আওয়ার ইসলাম: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মুহা. বাহাদুর এ ঘোষণা দেন।
সংঘর্ষ এড়াতে গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের পুলিশি পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দিয়ে শহরে পৌঁছে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল ও ক্যাম্পাসের আশেপাশে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পীকার আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ মারাত্মক জখম হন। এছাড়া সহকারী প্রক্টর ইকবাল হোসেন ও আল-আমিন শিকদারও আহত হন।
আহতদের নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ড. ফিরোজ আহমেদ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।
জানা যায়, গতকাল রাতের মারামারিকে কেন্দ্র করে ফের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দিতে থাকে। পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়।
সংঘর্ষে আহত শিক্ষক ড. ফিরোজ আহমেদ জানান, দুই গ্রুপের মুখোমুখি সংঘর্ষ থামাতে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন।
সহকারী প্রক্টর অলিউর রহমান আকন্দ বলেন, পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করেছে। হল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি চলবে। মূলত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ধ্রুব গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
রাত ৯টার দিকে হলের সামনে প্রকাশ্যে ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি বড় আকার ধারণ করে। এতে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে এ নিয়ে রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আব্দুস সালাম হলে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গভীর রাত পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। উভয় পক্ষ একে অপরকে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।
-এএ