বেলায়েত হুসাইন
আজ পহেলা মুহাররম। আরবি ক্যালেন্ডারের হিসেবে বছরের প্রথম দিন। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা মুকাররমা থেকে যখন মদিনা মুনাওয়ারায় হিজরত করেন তখন থেকেই এই আরবি ক্যালেন্ডারের গণনা শুরু। 'পবিত্র হিজরত' এর সঙ্গে আরবি বছরের এই সম্পর্কের জন্য একে হিজরি সাল বলা হয়।
আজ শনিবার নতুন হিজরি বর্ষ ১৪৪১ সালের প্রথম দিবস উপলক্ষে আরববিশ্বে আরবি নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসায়ও দেশটির মুসলিমরা হিজরী নববর্ষ উদযাপন করেছেন। খবর ওয়াফা নিউজ এজেন্সির।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমটি জানায়, অধিকৃত জেরুসালেমে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় মর্যাদাপূর্ণ মসজিদ আল আকসা প্রাঙ্গনে নববর্ষ উদযাপন করতে জমায়েত হন শতশত ফিলিস্তিনি মুসলিম। ধর্মীয় আলোচনা, স্মৃতিচারণ, দোয়া, ইসলামী নাশিদ ও হামত-নাতের মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করে নেন তারা। অনুষ্ঠান শেষে জেরুসালেম, পশ্চিমতীর এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে সমাগত মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টান্নও বিতরণ করা হয়।
নববর্ষ অনুষ্ঠানে আল কুদস ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলের গ্রান্ড মুফতী শায়েখ মুহাম্মাদ হুসাইন আলোচনা পেশ করেন। তিনি বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের স্মৃতিচারণার দিনে বিশ্ব-মুসলিম আজ নিজেদের ও ইসলামের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে বিরাট এক সংগ্রামের উপর অবস্থান করছে। আর এই সংগ্রামকে তিনি 'বড় পাথর'হিসেবে আখ্যা দেন।
শায়েখ মুহাম্মাদ হুসাইন বলেন,মহান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আমাদেরকে আবার আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিবেন এবং আমরা যেখানেই থাকি আমাদের জন্য কল্যাণ, বরকত, সম্মান ও সাহায্য প্রদান করবেন।
বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, আল্লাহর এই পবিত্র ঘর মুসলমানদের প্রথম কিবলা। এটা 'ইসরা ও মেরাজে'র ভূমি। হিজরি নববর্ষের দিনে আল্লাহর নিকট আমাদের প্রার্থনা তিনি যেন তার ঘরকে ইহুদী জালিমদের থেকে মুক্ত করে নেন।
এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পবিত্র নগরী আল কুদসের বিচারক ইয়াদ আল আব্বাসী। সকাল থেকে আরম্ভ হওয়া অনুষ্ঠানটি বাদ যোহর শেষ হয়।
আরএম/