শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

ইলম অর্জনে আগ্রহী সাধারণ শিক্ষিতদের প্রতি আমার আকুতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোশাররফ মাহমুদ: শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ব্যতীত কোনো জাতি চলতে পারে না। তাই প্রত্যেকে প্রত্যেকের পছন্দমত শিক্ষাকে বেছে নেয়। কেউ আধুনিক শিক্ষাকে বেছে নেয়। আবার কেউ ধর্মীয় শিক্ষা। তবে দুই শিক্ষার মাকসাদ বা উদ্দেশ্যে দুই ধরণের।

দুনিয়াবী শিক্ষা কেবলই দুনিয়ার ফায়দা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করার জন্যই অর্জন করা হয় এবং এটা দুনিয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতের কল্যাণ ও সফলতার চাবিকাঠি।

ধর্মীয় শিক্ষাটা আমাদের সমাজে খুবই অবহেলিত। অথচ এই ধর্মীয় শিক্ষাটাই সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেয়ার প্রয়োজন ছিল। আফসোস করে বলতে হয়- মুসলিম দেশে রাষ্ট্রের কর্ণধাররা রাষ্ট্রীয়ভাবে এর মূল্যায়ন করছে না। এমনকি ক্ষেত্রে বিশেষ বিরোধিতাও করে চলছে।

যারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন, তারা তো ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছেন। জীবন ইসলামের পথে চলার মত যোগ্যতা হয়েছে।

কিন্তু যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ হয়নি। অথবা ছোটবেলায়  পিতা-মাতা  ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার পিছনে অবহেলা করেছে । বয়সকালে তাদের মধ্যে অনেকেই ধর্মীয় বিষয়াধি ও বিধানাবলি শিক্ষার আগ্রহ নিয়ে চলেন।

এই আগ্রহ নিয়ে কোনো বিজ্ঞ আলেমের কাছে যান না লজ্জার কারণে । ফুটপাত থেকে কিছু ধর্মীয় বই কিনে নিয়ে যান। কিন্তু আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হলো- তারা এটা জানে না যে ফুটপাতের ধর্মীয় বই কোন ব্যক্তিদের লেখা। এই বইগুলো কি বিজ্ঞ, অবিজ্ঞ ব্যক্তিদের, না অনাবিজ্ঞ ব্যক্তিদের লেখা?

এই ব্যাপারের যাচাই-বাছাই করার মতো জ্ঞানও তাদের নেই। যার ফলে এই অনাবিজ্ঞ ব্যক্তিদের লেখা পরে ইসলামের সঠিক জ্ঞানটা তারা পায় না। যার ফলে তারা ইসলামের নানান বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে যান।

বিশেষত সরকারি বা বেসরকারি চাকরিজিবীদের অবসরের পর তাদের সাথে এই বিষয়টা ঘটে থাকে। তখন তাদের কোনো কাজ থাকে না, মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়। আর কিছু ধর্ম-কর্ম করার ইচ্ছা জাগে। লজ্জায় কারো কাছে যেতে পারছে না, তাই এদিক সেদিক থেকে নানান অনর্থ বই পরে ইসলামি জ্ঞান শেখার প্লান করে নেয়। এর মাধ্যমে তারা ইসলামের ভুল বিষয়গুলো শিখে আলেমদের সাথে তর্কে জড়িয়ে যান।

তাদের উচিত লজ্জা না করে পাশের বিজ্ঞ কোনো আলেমের স্মরণাপন্ন হওয়া। বিজ্ঞ আলেমদের কাছ থেকে শিখে নেয়া। অথবা পরামর্শ নেয়া যে, ইসলামের মৌলিক বিষয়াধি শেখার জন্য কোন কোন বই পড়তে পারি? আশা করি বিজ্ঞ আলেমরাও আন্তরিকতার সাথে আপনাদের বিষয়গুলো সমাধান করবেন এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ