আওয়ার ইসলাম: সন্তান বাবা-মার কাছে আল্লাহ তায়ালার আমানত। এ আমানত রক্ষায় তাদের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার পাশাপাশি সব ধরণের বিপদ-আপদ ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখাও আবশ্যক।
শিশু সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে মা-বাবা সব সময় খুব চিন্তা করেন। তাদের চেষ্টা করেন নিরাপদে রাখতে।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তিই একজন রাখাল এবং সবাই তাদের অধীনস্থদের দায়িত্বশীল। একজন ব্যক্তি তার নিজের পরিবারের জন্য রাখাল এবং তাদের ওপর সে দায়িত্বশীল। (বুখারি ও মুসলিম)।
হাদিসের আলোকে সন্তানের দায়িত্বশীল হলেন পিতা। সে আলোকে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্তানদের হেফাজতের উপদেশ দিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই তাঁর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত হাসান এবং হজরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিরাপত্তার জন্য এভাবে দোয়া করতেন-
أُعيـذُكُمـا بِكَلِـماتِ اللهِ التّـامَّة، مِنْ كُلِّ شَيْـطانٍ وَهـامَّة، وَمِنْ كُـلِّ عَـيْنٍ لامَّـة
উচ্চারণ: উয়িজুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি, মিন কুল্লি শায়ত্বানিও ওয়া হাম্মাতি, ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লিআম্মাতি।
অর্থ: আমি তোমার জন্য আল্লাহর কালেমার সাহায্যে আশ্রয় চাচ্ছি সব ধরনের শয়তান, হিংস্র প্রাণী এবং বদনজরের বিপদ থেকে। (বুখারি)
বিশেষ করে মাগরিবের সময় সন্তানদের ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবী- হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যখন রাত ঘনিয়ে আসে, তোমাদের শিশুদের ঘরের ভেতর রাখো। কেননা শয়তান এসময় বেরিয়ে আসে। রাতের কিছু সময় পার হওয়ার পর তোমরা তাদেরকে ছাড়তে পারো। (বুখারি ও মুসলিম)।
বাবা-মা ও সন্তানের দায়িত্বশীলদের উচিত সকাল-সন্ধ্যা, ঘরে-বাইরে সন্তানের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং সতর্ক থাকা। পাশাপাশি সন্তানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দোয়াগুলো শেখানো।
আরএম/