সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

আরাফার দিনে হাজিরা যে ১০টি আমল করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চলছে হজের মৌসুম। ৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে অবস্থান হজের অন্যতম আমল। আরাফার ময়দান মক্কা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানেই হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। যা ইতিহাসে ‘বিদায় হজের ভাষণ’ হিসেবে পরিচিত।

হজের মূল আমলগুলোর মধ্যে অন্যতম আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে খুতবা শোনা এবং দোয়া-ইসতেগফারে ৯ জিলহজ অতিবাহিত করা।

আজ শনিবার (১০ আগস্ট- সৌদিতে ৯ জিলহজ) হজের মূল রোকন অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে।

৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়া উত্তম। প্রত্যেক হাজিকে এ দিন সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ার আগেই অর্থাৎ জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে এসে হাজির হওয়া সুন্নাত।

এ ময়দানে প্রদত্ত খুতবা শ্রবণ করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া ও ইসতেগফারের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করতে হয়। এ দিনটি আল্লাহ তাআলার নিকট অন্য দিনগুলোর থেকে আলাদা।

আরাফাতের ময়দানে হজ পালনকারীদের জন্য রয়েছে কিছু করণীয়। যা পালন করা অত্যন্ত সাওয়াবের কাজ।

১। মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে একনিষ্ঠ তাওবার সঙ্গে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওয়ানা হওয়া।

২। ৯ জিলহজ সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার আগে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম ফরজ কাজ।

৩। খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ জোহরের ওয়াক্তের আগেই সেরে নেয়া। সূর্য ঢলে যাওয়ার পর জোহর নামাজের পূর্বে উকুফে আরাফার উদ্দেশে গোসল করা সুন্নাত।

৪। নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে নামিরাসহ আরাফাতের ময়দানের যে কোনো জায়গায় অবস্থান করা এবং নিজ নিজ জায়গায় নামাজ আদায় করা। অর্থাৎ জোহরের সময় জোহর এবং আসরের ওয়াক্তে আসর নামাজ আদায় করার এবং দোয়া-ইসতেগফার করা।

উল্লেখ্য যে, জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মসজিদে নামিরায় জোহর ও আসরের জামাত এক আজানে দুই ইকামাতে একত্রে আদায় করলে একত্রে দুই ওয়াক্ত আদায় করা করা যাবে। কিন্তু তাবুতে বা অন্য কোনো স্থানে একত্রে আদায় না করে আলাদা আলাদা আদায় করা।

৫। আরাফার দিনে দু’হাত উত্তোলন করে বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণ যে দোয়া পাঠ করেছেন, তা পাঠ করা। আরাফার ময়দানের অন্যতম দোয়া হলো- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির।’

৬। বিশেষ করে কুরআন তিলাওয়াত ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ প্রেরণ হলো আরাফাতের ময়দানের সর্বোত্তম আমল।

৭। সম্ভব হলে আরাফাতের ময়দানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সিজদায় দোয়া ও ইসতেগফারের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করা।

৮। সূর্যাস্তের পর সঙ্গে সঙ্গে মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার দিকে রওয়ানা হওয়া। পরিশেষে…আরাফার ময়দানে মুসলিম উম্মাহ ‘লাব্বাইক আল্লা-হুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা- শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে। এক স্বর্গীয় আবহ তৈরি হবে পুরো ময়দান জুড়ে।

৯। সকল হজ পালনকারীর পরনে থাকবে সাদা দুই খণ্ড বস্ত্র।

১০। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ, রহমতপ্রাপ্তি ও নিজের গোনাহ মাফের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে অশ্রুসিক্ত নয়নে ফরিয়াদ জানাবেন সমবেত মুসলমানরা।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজি সাহেবদেরকে তাঁর রহমত, বরকত, কল্যাণ লাভ এবং গোনাহ থেকে পরিত্রাণ দান করুন। সবাইকে হজ্জে মাবরূর কবুল করুন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ