সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

ডেঙ্গুর নিরাময়ে এল ‘ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যেই এ রোগ দ্রুত নিরাময়ে ওষুধ পাওয়া গেছে।যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া’ নামের একটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। তবে
এটি এখনো সারা বিশ্বে পৌঁছেনি। ওষুধটি নয় থেকে ষোল বছর বয়সীদের জন্য প্রযোজ্য।

মেক্সিকোতে প্রথম এ ওষুধের অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) তার দেশেও এর ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তারা এক বিবৃতিতে জানায়, ডিইএনভি-ওয়ান, ডিইএনভি-টু, ডিইএনভি-থ্রি, ডিইএনভি-ফোর নিরাময়ে ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া কাজ করবে।

এফডিএর প্রধান নির্বাহী পিটার মার্কস বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাসের কয়েকটি স্তর রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ রোগ শনাক্ত করা কঠিন। কিন্তু প্রথমবার এ রোগে আক্রান্ত হলে তা থেকে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু একই ব্যক্তি পুনরায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে তার জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়। ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া ওষুধটি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসহ বিশ্বের ২০টি দেশে ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া ওষুধের অনুমোদন আছে। তাদের লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে অন্তত ২৫ ভাগ ডেঙ্গু আক্রান্তের হার হ্রাস করা। এ রোগ নিরাময়ে আরো পাঁচটি ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

তবে ডেঙ্গভ্যাক্সিয়া ওষুধ সম্পর্কে বিতর্ক আছে। কারণ, যেসব রোগী প্রথমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়নি, তাদের জন্য এ ওষুধ ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর। এ কারণে ফিলিপাইন সরকার ওষুধটির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এছাড়াও এ ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এর ফলে মাথাব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা, শরীর অবসন্ন, হালকা জ্বরের ভাব তৈরি হয়। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বন্ধে তারা কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকিতে আছে। প্রতি বছর প্রায় ৪০ কোটি মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়। ভবিষ্যতে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের প্রায় ৫০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্ক্ষা করছেন গবেষকরা। প্রতি বছর প্রায় বিশ হাজার মানুষ ডেঙ্গু রোগে মারা যায়। ১৯২৯ সাল থেকে গবেষকরা ডেঙ্গু নিরাময়ের ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ