আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো রাজ্যের ডেটনে বন্দুক হামলায় যেই নয় জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে বন্দুকধারীর নিজের বোনও রয়েছেন। খবর বিবিসি’র।
স্থানীয় সময় শনিবার ওই বন্দুক হামলাটি ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময় স্থায়ী হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় অন্তত ২৭ জন আহত হয়। তবে বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য এখনও জানা যায়নি। টেক্সাসের এল প্যাসোতে হামলার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বন্দুক হামলা ছিল সেটি।
এ বিষয়ে ডেটনের পুলিশ প্রধান রিচার্ড বিয়েল বলেন, বেটস যদি বারের দরজা দিয়ে ঢুকতে পারতেন, তাহলে ব্যাপক প্রাণহানি হতে পারতো। তবে বন্দুকধারীর উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি। স্থানীয় সময় রাত ১টা বেজে ৫ মিনিটের দিকে বেটস তার প্রথম গুলিটি করেন। এরপর আরও কয়েক ডজন রাউন্ড গুলি চালান তিনি।
তিনি আরও জানান, সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, স্থানীয় নেড পেপার্স নাইটক্লাবের দরজা দিয়ে দৌড়ে ভেতরে ঢুকছে মানুষজন।তার কয়েক সেকেন্ড পরই বন্দুকধারী বেটসকে দেখা যায় বারের দরজার দিকে দৌড়ে যেতে। দরজার কাছে পৌঁছাতেই পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায় তাকে। বেটসের গায়ে বর্ম ছিল এবং তার হাতের .২২৩ ক্যালিবারের অ্যাসল্ট রাইফেলের জন্য অতিরিক্ত গুলিও ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, রাইফেলটি টেক্সাস থেকে অনলাইনে কেনা হয়েছিল। বন্দুকধারীর অতীত ইতিহাস যাচাই করে দেখা যাচ্ছে, বৈধভাবে ওই বন্দুক কেনার ক্ষেত্রে তার কোন বাধা ছিল না। নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীর বোন ২২ বছর বয়সী মেগান বেটসও ছিলেন। প্রথম যে কয়েকজনের গায়ে গুলি লাগে, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে একজন।
-এএ