আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ বহু মুসলিম অধ্যুষিত দেশেই তিন তালাক নিষিদ্ধ। ইটিভির তথ্য মতে, বিশ্বে ২০টিরও বেশি দেশে তিন তালাক নিষিদ্ধ রয়েছে। সম্প্রতি ভারতে মোদি সরকার আইন করে তিন তালাকের প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়। সাথেসাথে তিন তালাক প্রদানকারী ব্যক্তিকে তিন বছরের জেল হাজতে পাঠাবে বলে দেশটির সর্বোচ্চ অথরিটি এ আইন পাশ করে।
১৯২৯ সালে মিসরে সর্বপ্রথম নিষিদ্ধ হয়েছিল তিন তালাক। 'মুসলিম নারী পরিবার অধ্যাদেশ, ১৯৬১' -এর মাধ্যমে পাকিস্তানে তিন তালাককে রদ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালায় তালাকের পদ্ধতি একটু ব্যত্রিক্রম। মূলত তিন ধাপে এখানে স্বামী-স্ত্রী বিচ্ছেদ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় ৷ প্রথমে লিখিত নোটিশ, তারপর বিশেষ সালিশি সভায় আলোচনা, তৃতীয় ধাপে নির্দিষ্ট সময়ের পর কার্যকর হবে বিচ্ছেদ ৷
আবার, তিউনিশিয়া, সিরিয়া, জর্ডান, মালয়েশিয়া, লিবিয়া, সুদান, লেবানন, সৌদি আরব,মরক্কো, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সাইপ্রাস, ব্রুনেই, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, বাংলাদেশে এই প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবার শ্রীলঙ্কাতেও তিন তালাক নিষিদ্ধ।
ইসলামি শরিয়া আইনে মূলত তিন রকমের তালাক রয়েছে। তালাকে এহসান, তালাকে হাসান এবং তালাকে বিদা। প্রথম দুটি হয় নির্দিষ্ট সময়-কাঠামো এবং পদ্ধতি মেনে, যেখানে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরেও আসা যায়। তৃতীয় ক্ষেত্রে পরপর তিনবার তালাক বলেই বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
শুধু তৃতীয় পদ্ধতি সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েই ভারতে বিতর্ক শুরু হয় এবং সর্বশেষ তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ইসলামও এ পদ্ধতিকে অপছন্দ করে। তবে কোন মুসলিম একসঙ্গে তালাক দিলে তা পতিত হয়ে যাবে বলে ইসলামি শরিয়তে উল্লেখ রয়েছে।
সূত্র : ইটিভি ভারত
আরএম/