মাওলানা জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী । ।
কুদৃষ্টির একটি ধরন হল, কারো ঘরের দরজা-জানালা কিংবা ছিদ্র দিয়ে দেখা। হাদীস শরীফে এ ব্যপারে কঠোর সতর্কবাণী এসেছে। এমনকি ঘরের মালিককে দর্শনকারীর চোখ ফুঁড়ে দেয়ার অধিকারও দেয়া হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنَّ اِمْرَأً اِطَّلَعَ عَلَيْكَ بِغَيْرِ اِذْنِ فَخَذَفْتَه بِحِصَاةٍ فَفَقَأَتْ عَيْنُه مَا كَانَ عَلَيْكَ مِنْ جَنَاحٍ.
‘কেউ যদি অনুমতি ছাড়া তোমার ঘরের দিকে উঁকি মেরে দেখে তুমি তার প্রতি পাথর নিক্ষেপ কর। এর দ্বারা যদি তার চোখ ফুটো হয়ে যায় তোমার কোনো অপরাধ হবে না।’ -ইবনেকাসীর, খন্ড : ৩, পৃষ্ঠা : ২৮০
কুদৃষ্টির কারণে পবিত্র কুরআন ভুলে গেল
ইমাম ইবনুল জাওযী রহ. ‘তালবীসে ইবলীস’ কিতাবে লিখেছেন, আবু আব্দুল্লাহ ইবনে আজলা বলেন, আমি দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে একটি খৃস্টান সুশ্রীবালককে দেখছিলাম। ইত্যবসরে আবু আবদিল্লাহ বালখী রহ. আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, দাঁড়িয়ে আছ কেন? আমি বললাম, চাচা! একটু দেখুন, এই সুদর্শন চেহারাটিকে কিভাবে জাহান্নামের আগুনে শাস্তি দেয়া হবে!
আমার এ উত্তর শুনে তিনি তার দুটো হাত দ্বারা আমার কাঁধে চাপড় মেরে বললেন, এই কুদৃষ্টির ফল তুমি পাবে। বেশ কিছুকাল যদিও চলে গেছে। কিন্তু চল্লিশবছর পর আমি গুনাহটির প্রতিক্রিয়া দেখলাম। পবিত্র কুরআন আমি ভুলে গেলাম। -তালবীসে ইবলীস, পৃষ্ঠা : ৩৪৯
আবুল আইয়ান বলেন, আমি আমার উসতাদ আবুবকর দাক্কাকের সাথে যাচ্ছিলাম। ইতোমধ্যে একটি কিশোরের কমনীয় চেহারার ওপর আমার কামদৃষ্টি পড়ে। উসতাদ সঙ্গে সঙ্গে বুঝে ফেললেন। বললেন, তুমি এর পরিণতি ভোগ করবে। কিছুদিন পর আমি কুরআন মাজীদ ভুলে গেলাম।
অনুবাদ: মাওলানা উমায়ের কোববাদী নকশবন্দী
আরএম/