মাওলানা তারিক জামিল
মুবাল্লিগ
সিন্ধু বিজয়ী মুহাম্মদ বিন কাসিম, সাবেক সিন্ধু দিপাল থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পূর্ণ এলাকা জুড়ে সব মানুষের ইসলাম তার ত্যাগের ফলশ্রুতিতেই হয়ে ছিল। তিনি বিয়ের পর কেবল ৪ মাস ছিলেন স্ত্রীর নিকট। এরপর চলে আসেন সিন্ধু জিহাদে, বিজয় হয় ইসলাম ও মুসলমানদের।
তিনি এখানে প্রায় সােয়া ২ বছর অবস্থানের পর তাকে শহীদ করে দেয়া হয়। তিনি তার স্ত্রীকে ৪ মাসের বেশী দেখেননি। তার স্ত্রীও তাকে ৪ মাসরে বেশী দেখেনি। কিন্তু এ কুরবানি ও আত্মত্যাগের ফলে অসংখ্য লােকের ইসলাম গ্রহণের সওয়াব স্বামী স্ত্রী উভয়ের আমলনামায় উঠে গেল।
আর তাদের উভয়ের এ আমল যদি আল্লাহ তা'য়ালা গ্রহণ করে নেন তবে উভয়ে কিয়ামতের দিন মর্যাদার সাথে-জান্নাতে পৌঁছে যেতে পারবে।
প্রিয় ভাই ও বােনেরা!
সব মানুষকে একথার উপর উঠানো যে, আমাদের কাজ, আমাদের পরিশ্রম, আমাদের ব্যাথা, আমাদের অনুতাপ ও চিন্তা ভাবনা যাতে কোন মানুষ দোজখে না যায়।
এ চেতনা নিয়েই জীবন পরিচালনা করি যে, যেন কোন মানুষ অন্যায়ে লিপ্ত না হতে না পার। আমাদের সর্বদা এ চিন্তা ও থাকা উচিত যে, সকলের পিছনে মেহনত করার দায়িত্ব আমার। এ দায়িত্বের কারণ হল খমতে নবুয়াত।
আমরা সকলেই জানি আমাদের নবী সাঃ সর্বশেষ নবী,তার পর আর কোন নবী আসবেন না। রাসূল সাঃ এর উম্মতের দায়িত্ব হল নিজে নেক কাজ করা অন্যকে করানাে, নিজে অন্যায় কাজ বিরত থাকা, অন্যকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা।
তাই আমরা পুরুষরা পুরুষদের পেছনে, নারীরা নারীদের পেছনে মেহনত শুরু করে দেই। শুধু নামাজ রােজা বা ইবাদতের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া কঠিন কেননা অন্যের মুক্তির ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা ও মেহনতের দায়িত্ব আমাদের উপর। আমরা যদি আল্লাহর প্রিয় রাসূল সাঃ এর জীবনীর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই। তিনি সর্বদা অন্যের চিন্তাই ব্যস্ত থাকতেন।
(মাওলানা তারিক জামিলের বিশেষ বয়ান, সংগ্রহ ও অনুবাদ - মাওলানা বেলায়েত হোসাইন লক্ষীপুরী)