আবদুল্লাহ তামিম ♦
হাজিদের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী উপহার তৈরি করেছেন এক সৌদি নারী। সালেহা তাজ নামের এ নারী নিজের হস্তশিল্পির মাধ্যমে এ অনন্য উপহার হাজিদের হাদিয়া দেয়ার জন্যই তৈরি করেছেন বলে জানা যায়।
সালেহা তাজ, আরবের ইতিহাস ঐতিহ্যের ছবি, ইসলামি নিদর্শন, নিজের হাতে আর্ট করে হেলান দেয়ার ছোট বালিশ-কুশন তৈরি করেছেন। এছাড়াও কাপড়ে বাদশাহ সালমানের ছবি, কুরআনের গিলাফ, বালিশের গিলাফ বানিয়েছেন। এছাড়া মক্কা ও হারামাইন শরিফের বিভিন্ন স্থানেরও ছবি রয়েছে।
আল-আরাবিয়া ডটনেটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সালেহা তাজ বলেন, এ উপহারগুলি ইসলামি নিদর্শন ও পরিচয় বহন করে। সৌদি আরবের ইতিহাস ঐতিহ্য প্রতিফলিত করে।
তিনি আরো বলেন, আমার উপহারগুলোর মধ্যে বিভিন্ন চিত্রকল্প ছাড়াও অসাধারণ সুগন্ধি, পোড়ামাটির পাত্রও রয়েছে।
ডিজাইনার সালেহা তাজ বলেন, আজ থেকে ৩৫ বছর আগে তার শৈশবকালে তিনি চিত্রশিল্প শুরু করেন। একটি গোপন শক্তি তাকে ধীরে ধীরে সাফল্যের পথে পরিচালিত করে আসছে।
তিনি বলেন, এটা আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া আর কিছুই না। আমি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করি।
তিনি আরো বলেন, আমার পরিবারে শুধু আমি নই, আমার দুই ভাই শিল্পী। তারা এ বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, বিশেষ প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।
এ চিত্রকার সৌদি নারী আরও বলেন, আমি পড়াশোনাকালে বিভিন্ন শিল্পকর্ম করেছি। কিন্তু সেগুলো তেমন জনপ্রিয় ছিলো না। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা শেষ করার পর এমন কিছুু কাজ করতে সক্ষম হই, যাতে সবার চোখে তাক লেগে যায়। তাই আমি আমার চিত্রশিল্প দিয়ে এ বছরের হাজিদের জন্য কিছু হাদিয়া দেয়ার ইচ্ছা করি।
সালেহা তাজ তার স্মৃতির কথা স্মরণ করে বলেন, আমার প্রথম চিত্র বিক্রি হয়েছিলো ৪৫০ রিয়ালে। তাও আমার এ চিত্র শেষ করার ছয় মাস পর বিক্রি হয়েছে। আমি হতাশ হইনি! আমার সে চিত্রটিতে খরচ হয়েছিলো ৩৮০ রিয়াল। কম লাভ সত্ত্বেও জীবনের প্রথম উপার্জন নিয়ে আমি অত্যন্ত খুশি ছিলাম।
তিনি আরো বলেন, আমি শিল্পকর্ম শুরু করার পাঁচ বছর পর, ২০০২ সালে আমার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হই। তারপর থেকে আমার চিত্রগুলোর আলাদা বাজার তৈরি হয়। অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করি এবং এ বিষয়ে আমি সরকারি সনদও লাভ করি।
সালেহা তাজ একই সঙ্গে একজন চিত্রশিল্পি আবার ক্যালিগ্রাফারও। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনেসের ছবি ছাড়াও মসজিদ, খানায়ে কাবা, মক্কার ক্লক টাওয়ার, আল-আদ্রিয়া ও জেদ্দা ওল্ড টাউনের ছবি, কুরআনের আয়াত ইত্যাদি হাজিদের হাদিয়া দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
সূত্র: আল-আরাবিয়া ডটনেট
-এটি